
সিকারি ডেস্ক:: সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ একান্ত উদ্যোগে সদর উপজেলার নিম্ন আয়ের চা-বাগান শ্রমিকদের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মানবিক সহায়তা খাত থেকে এ উপজেলার ১৪’শ চা-শ্রমিকদের নগদ সাত লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান ও ১৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ প্রদান করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) জেলা প্রশাসকের দেওয়া এ মানবিক সহায়তার বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অর্ধাহারে অনাহারে থাকা নিম্ন আয়ের চা-বাগান শ্রমিকদের মাঝে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজ্ খোশনূর রুবাইয়াৎ।
এ সময় সিলেট সদর উপজেলার আওতাধীন বুরজান চা-বাগানের ৩৪৬ জন, কালাগুল চা-বাগানের ৫৪২ জন, ছেড়াগাং চা-বাগানের ৩১২জন ও বুরজান অর্ন্তগত ২০০ জনসহ মোট ১ হাজার ৪০০ জন শ্রমিকদের নগদ ৫০০ টাকা ও ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
এর আগে চা-বাগান শ্রমিকরা সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে ১৫ সপ্তাহ ধরে সিলেট সদর উপজেলার বুরজান, কালাগুল, ছেড়াগাং ও খাদিম ফ্যাক্টরিতে তাদের বেতন ও রেশন বন্ধ থাকায় অর্ধাহারে অনাহারে অবর্ণনীয় কষ্টের বিষয়টি তুলে ধরেন। পরে জেলা প্রশাসক দ্রুততার সাথে নিম্ন আয়ের চার চা-বাগান শ্রমিকদের মাঝে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মো. মাহবুবুল ইসলাম, সিলেট মহানগর এসিল্যান্ড মোঃ আলীম উল্লাহ খান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মেরিনা দেবনাথ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ ও খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এদিকে চা-শ্রমিকরা সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে বন্ধ থাকা মজুরি ও সাপ্তাহিক রেশন প্রদান, বকেয়া পাওনা পরিশোধ এবং পেনশন, চিকিৎসা, আবাসন, খাবার পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ক চা নীতিমালা সমর্থিত দাবিসহ মোট ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেন।