• ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ধুপাগুলে প্রশাসনের উপর হামলায় প্রতিরোধ গড়ায় প্রশংসায় ভাসছে যুবসমাজ

sylhetcrimereport
প্রকাশিত এপ্রিল ১৬, ২০২৫
ধুপাগুলে প্রশাসনের উপর হামলায় প্রতিরোধ গড়ায় প্রশংসায় ভাসছে যুবসমাজ

সিকারি প্রতিবেদক:: সম্প্রতি সিলেট সদর উপজেলার ধুপাগুলে অবৈধ স্টোন ক্রাশার মেশিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। দিনভর অভিযানের পর শেষ বিকেলে প্রশাসনের উপর হামলা চালায় বহিরাগত কিছু স্টোন ক্রাশার মেশিন মালিক ও তাদের কর্মীরা। তৎক্ষনাৎ এলাকার যুবসমাজ প্রতিরোধ গড়ে তুলে রক্ষা করে প্রশাসনিক টিমকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায় নিজেদের জীবন বাজি রেখে উপস্থিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপদে স্থান ত্যাগ করতে সহযোগিতা করেন স্থানীয় যুবকরা। প্রশাসনিক টিম কে সহযোগিতা করায় যুবকরা সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ।

জানাযায়, রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে উচ্ছেদ অভিযানে নয়টি অবৈধ স্টোন ক্রাশার মেশিন পে-লৌডার দিয়ে ভাংচুর করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল।

অভিযানের শেষদিকে বিকেলে জাফলং স্টোন ক্রাশারের মালিক ময়নুল হক (৪৫) হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। মিল মালিক অসুস্থ হয়ে পড়লে, বহিরাগত উশৃংখল ১২ টি ক্রাশার মেশিন মালিক ও শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা দলবদ্ধভাবে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। এতে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত এবং পুলিশের একটি গাড়ির গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তৎক্ষনাৎ স্থানীয় যুবসমাজরা প্রশাসনের লোকদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন পরিবহন যোগে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে ত্যাগ করতে সহযোগিতা করেন।

এসময় প্রশাসনিক টিমের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয়দের সাথে দেয়াল হয়ে দাঁড়িন সিলেট সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আজির উদ্দিন, যুবদল নেতা আব্দুল হামিদ রানা, যুবদল নেতা রাজন আহমেদ রাজু, সেচ্ছাসেবক দল নেতা শামিম আহমেদ (কাপ্তান), উমদারপাড়া গ্রামের যুব সংগঠক মোঃ আব্দুল হক, লুকমান আহদ, দুলাল আহমদ,  যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম রনি, তুহিন আহমেদ (রানা), ফরিদ আহমেদ, ফয়জুল ইসলাম, ব্যাবসায়ী সোহেল, আব্দুর রহিম সহ এলাকার আরও অসংখ্য প্রবীন ও যুবক অংশ নেয়। যারা তাৎকনিকভাবে সংগঠিত হামলার মধ্য থেকে অভিযান পরিচালিত প্রশাসনের লোকদেরকে নিরাপত্তার সহিত নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন। উক্ত হামলার ঘটনায় আটকেপড়া আরও ৩জন প্রশাসনীক সদস্যের একজনকে মোটরসাইকেল ও দুজনকে প্রাইভেটকারের মাধ্যমে নিরাপত্তার সাথে ঘটনাস্থল থেকে শহরে পাঠানো হয়।

প্রশংসার দাবীদার যুবকরা জানান, ঘটনাটি আমাদের এলাকায় এ জন্য অত্যান্ত দুঃখিত। যা ঘটেছে তা বহিরাগত কিছু ব্যাবসায়ীর কারনেই ঘটেছে। এর দায়ভার স্থানীয় কারোই নয়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে প্রশাসনকে রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বাবস্থায় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।

এদিকে ঘটনার পর দিন সোমবার (১৪ এপ্রিল) এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। দায়েরকৃত মামলায় ৪ পুলিশ আহত ও পুলিশের একটি গাড়ির সামনের গ্লাস ও কেবিন ভাংচুরে ৮৬ হাজার টাকা সমপরিমাণ ক্ষতি দেখিয়ে ২০০/২৫০জনকে অজ্ঞাতকে আসামি করা হয়।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান সঠিক নির্দেশনা মেনে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ ক্রাশার মেশিন পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে।