
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকায় অবৈধ স্টোন ক্রাশার মেশিন উচ্ছেদ অভিযানের সময় ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল থেকে পরিচালিত অভিযানে নয়টি অবৈধ স্টোন ক্রাশার মেশিন উচ্ছেদ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল।
অভিযানের শেষদিকে বিকেলে জাফলং স্টোন ক্রাশারের মালিক ময়নুল হক (৪৫) হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মিল মালিক অসুস্থ হয়ে পড়লে, পার্শ্ববর্তী মিলগুলোর মালিক ও শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। তারা দলবদ্ধভাবে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। এতে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন।
এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন, কিছু দুর্বৃত্তের এমন অপরাধের দায় বৈধ ব্যবসায়ী বা এলাকাবাসীর ওপর বর্তাবে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন বলেন, “দিনভর অভিযানে কেউ বাধা দেয়নি। কিন্তু বিকেল পাঁচটার দিকে কয়েকজন মালিক ও তাদের অর্ধশতাধিক শ্রমিক একত্রিত হয়ে হামলার ঘটনা ঘটায়, যা নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, ১২টি স্টোন ক্রাশার মেশিন মালিকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে হামলার সাথে। সংশ্লিষ্টদের একটি তালিকা ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় যাতে নিরপরাধ কোন মানুষ হয়রানীর শিকার না হন, সে আবেদন রাখেন তিনি।
পুলিশের কাছে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী হামলায় নেতৃত্ব দেন ক্রাশার মালিক সুজন, মামুন, সুমন, শহিদ মুল্লা, জিয়া, হাবিব, সাগর, মাসুক, রাসেল, গুপি বাবু, ফরহাদ ও সাপ্লায়ার সুহেল।
স্থানীয় যুব নেতা রাজন আহমদ রাজু জানান, এ ধরনের হামলার নিন্দা জানাই আমরা। ধোপাগুল এলাকার তরুণ ও যুব সমাজ হামলাকারীদের শনাক্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দিতে বদ্ধপরিকর।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী জামাল আহমদ জানান, সরকারি এ অভিযানে স্থানীয় কোন ব্যাবসায়ী প্রশাসনের উপর হামলা কিংবা তাদের সাথে উচ্চস্বরে কথাও বলেনি। প্রশাসনের উপর এই হামলা করেছে বহিরাগত কিছু ব্যাবসায়ীরা। আমরা চাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় যেনো কোন নিরপরাধ ব্যাক্তি ভুক্তভোগী না হয়।
সিলেট বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, “সরকারি কাজে বাধা এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হবে। হামলাকারীরা পাথর ছুড়ে এক পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে।”
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।