
সিকারি ডেস্ক:: সিলেট জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা হেলেনের কথিত পার্টনার মিছবাহুল ইসলাম কয়েসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মিসবাউল ইসলাম কয়েস (৫০), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত নিমার আলীর ছেলে। বর্তমানে সদর উপজেলার বড়শালা, ফরিদাবাদ আহমদ হাউজিং এলাকায় বসবাস করেন।
এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্র্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মিছবাহুল ইসলাম কয়েস‘র বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় ধর্ষণ মামলাসহ ৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ৫ আগস্টের পর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় ১টি এবং কোতোয়ালি থানায় আরও ৬টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা বিধবা হেলেন’র পার্টনার হিসেবে পরিচিত সিলেটের আলোচিত ভূমিখেকো কয়েস। আত্মগোপনে থাকা সাবেক পররাষ্টমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের স্ত্রী সেলিনা মোমেন সিলেটের ‘ফাস্ট লেডি’ হিসেবে জনস্রোতি রয়েছে। তার সঙ্গে সখ্যতা হেলেনের। ড. মোমেনের স্ত্রীর ঘনিষ্টজন হিসেবে শক্তিশালী হয়ে ওঠায় হেলেনকে ‘সেকেন্ড লেডি’ হিসেবে চেনেন সিলেটের মানুষ। ড. মোমেনকে ব্যবহার করে ভূমির শ্রেনী পরিবর্তন করে গড়ে তোলেন মোমেন ফাউন্ডেশন। যার নেপথ্যে হেলেন-কয়েস।
এছাড়া হেলেন’র সহায় সম্পত্তি থেকে সব অপকর্ম বাস্তবায়নে কয়েস প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছত্রজনতার আন্দোলন প্রতিহত করতেও হামলায় তার ভূমিকা ছিল বলে জানায় পুলিশ।