
সিকারি ডেস্ক:: রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই মো. আকবর হোসেন ভুঁইয়ার জামিন স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত।
এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক হকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত। এর আগে,গত ৪ আগস্ট হাইকোর্ট এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়ার জামিন মঞ্জুর করে।
১০ আগস্ট ওই আদেশ সিলেট মহানগর জজ আদালতে পৌঁছালে তার আইনজীবী বন্ড দাখিল করেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পরদিন ১১ আগস্ট বিভিন্ন গণমাধ্যমে জামিন ও মুক্তির খবর প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার অনিক হক দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজে জামিন স্থগিত করান। তবে ততক্ষণে আকবর মুক্তি পেয়ে যান।
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আকবরকে অবিলম্বে গ্রেফতারের পাশাপাশি সীমান্ত ও বিমানবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারির আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে হাইকোটের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলে এলাহী অভি জানান, বিকেল ৫টার দিকে চেম্বার জজ আদালত অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক হকের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন।
রায়হান হত্যামামলার বাদিপক্ষের আইনজীবি ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী জানান, তিনি এই জামিন স্থগিতের আদেশের কথা শুনেছেন। তবে এই বিষয়ে কোন নথি এখনো তার হাতে পৌঁছেনি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১০ অক্টোবর ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। শুরুতে পুলিশ ছিনতাইকারীর হাতে মৃত্যু বলে প্রচার চালায় পুলিশ।
পরবর্তীতে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী মামলা করেন। মামলার পর সিলেট মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়।
ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ওই বছরেই ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।