
দাদন ব্যবসায়ী হেলাল আহমদ রুবেলের কাছে নিজ অফিসে হেনস্থার শিকার হয়েছেন সিসিকের এক নারী কর্মচারী। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম ফাহিমা আক্তার। তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জন্মনিবন্ধন শাখায় কর্মরত।
গতকাল রবিবার (২ মার্চ) এক মাস ছুটি শেষে ফাহিমা ফের কর্মস্থলে যোগদান করেন। এ সময় হঠাৎ করেই দাদন ব্যবসায়ী হেলাল আহমদ রুবেল ফাহিমার হাতে থাকা লাখ টাকা মূল্যের মোবাইল ফোনসহ ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ে। ভ্যানিটি ব্যাগে প্রায় ১৫ হাজার টাকাও ছিল বলে দাবি করেন ফাহিমা। বিষয়টি অফিসের সকলের সামনে ঘটলেও রুবেলের অদৃশ্য দাপটের কারণে কেউ এগিয়ে আসে নি। হেলাল আহমদ রুবেল একই অফিসের কাউন্সিলর রুমে পিয়ন হিসেবে কর্মরত।
জানাযায়, বিপদগ্রস্থ লোকজন দাদন ব্যবসায়ী হেলাল আহমদ রুবেলের স্মরণ নিলে তিনি শতকরা ২০ টাকা হারে সুদ প্রদান করেন। এর বিপরীতে বেশি টাকার চেক লিখে নিয়ে কৌশলে তিনগুন টাকা আদায় করেন। এরকম একাধিক ভুক্তভোগী রুবেলের এই অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে পারিবারিক প্রয়োজনে ফাহিমা আক্তার হেলাল আহমদ রুবেলের কাছ থেকে সামান্য টাকা সুদে গ্রহণ করার পর যথারীতি কিস্তি পরিশোধ করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি আমেরিকা প্রবাসী একজনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে সুযোগটি কাজে লাগায় হেলাল আহমদ রুবেল। স্বামীর ভয় দেখিয়ে এবং ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে রুবেল ফাহিমাকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা প্রদানের দাবি করে। অন্যথায় তাকে অফিসে নাজেহাল করার হুমকী প্রদান করে। এতে ফাহমিদা অপারগতা প্রকাশ করলে রোববার বেলা ১২ টার দিকে রুবেল ফাহিমার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ জোর পূর্বক ছিনতাই করে নিয়ে যায়। উপায়ন্তর না পেয়ে ফাহিমা বিষয়টি অফিসের কর্মচারী কল্যান পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি অবগত করলেও রুবেল কারো কথা কর্নপাত করে নি।
এ বিষয়ে হেলাল আহমদ রুবেলের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং ফাহিমার কাছে নগদ টাকা পাওনার কথা উল্লেখ করেন। তবে টাকাগুলো কিসের- এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে ফাহিমা জানান, সোমবার (৩ মার্চ) এই বিষয়ে সিলেট কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের্রে প্রস্তুতি চলছে। আশা করি আদালতের মাধ্যমেই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব হবে।