• ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কাউকে না পেয়ে গাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেন এসিল্যান্ড: ট্রাক চালক

Desk
প্রকাশিত মার্চ ১২, ২০২৫
কাউকে না পেয়ে গাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেন এসিল্যান্ড: ট্রাক চালক

ছবি: নিজস্ব

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদ পার্শ্ববর্তী ওসমানীনগর উপজেলার ভেড়াখাল গ্রামে গিয়ে ট্রাক ভাঙার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে এঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর উপজেলার বর্ডার এলাকা ভেড়াখাল গ্রাম। স্থানীয় (বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা) আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সায়াদ। তার স্ত্রী পুলিশে চাকুরী করেন। একসময় আওয়ামী লীগের ভয় দেখিয়ে, এখন পুলিশ বউয়ের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছেন সায়াদ। মাটি কাটতে গেলে চাঁদা দিতে হয় সায়াদকে অভিযোগ করেন গাড়ির মালিক ও ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম। ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন সায়াদ। অপশন রাখেন- টাকা না দিলে তার কলাবাগানে ৫০ গাড়ি মাটি দিতে বলেন তাতেও রাজি হননি ঠিকাদার। এরপর বালাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’কে ওই স্থানে যান সায়াদ।

ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বালাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্দেশনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সায়াদ প্রথমে গাড়িতে আঘাত করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র সঙ্গীয় ফোর্স গাড়িটির ভাঙেন। কোন ক্ষমতা বলে অন্য উপজেলায় এসে এরকম একটা ঘটনা ঘটালেন এর সুষ্টুবিচার দাবী করেন স্থানীরা। ট্রাক চলাচলের তো পারমিশন আছে। ট্রাক কেন ভাঙলেন.? গাড়ি রেকার করতে পারতেন। ভাঙার আইন কি সরকার উনাকে দিছেন।

ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা ট্রাকচালক লিটন জানান, মাটিকাটার মেশিন এবং ট্রাক ওসমানী নগর উপজেলা অংশে ছিল, এখনো আছে। স্থানীয় সায়াদ (বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা) নামের একজন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’কে গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলে ট্রাকচালক চাবি নিয়ে ভয়ে দূরে চলে যান। পরে কাউকে না পেয়ে গাড়ি ভাঙান নির্দেশ দেন এসিল্যান্ড।

ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি বছর ওই স্থান থেকে মাটিকাটি। যেস্থানেই মাটি কাটা হয়, স্থানীয় সায়াদ নামের একজনকে চাঁদা দিতে হয়, বিগত বছর আমিও দিয়েছি। চাঁদা না দিলে তার (সায়াদ) স্ত্রী পুলিশ বলে হুমকি দেন। এবছর ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলে দিতে অপারগতা জানাই। সায়াদ বলেন- টাকা না দিলে তার কলাবাগানে ৫০ গাড়ি মাটি দেওয়ার জন্য, তাতেও রাজি হয়নি। এর জের ধরে বালাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নিয়ে আসেন। এরপর আমার গাড়ি ভাঙেন। এবং গাড়িতে থাকা গাড়ির লাইসেন্স, ৫০ হাজার টাকা, গাড়ির যন্ত্রাদি লুট করা হয়।

এব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সায়াদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা দাবী করেন। পূর্ব শত্রুতার জের বলে ফোন কেটে দেন।

এবিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদ বলেন, ওইটা মিস আন্ডাসস্টেন্ডিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। বর্ডার এরিয়া। গাড়িটি উত্তেজিত জনতা ভাঙছে। এখানে মব কন্ট্রোল করা যায় নি।