
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের কানাইঘাটের লোভাছড়া কোয়ারি থেকে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ পাথরবোঝাই ৯টি স্টিলবডি নৌকা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন জনতা।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকায় পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন সুরমা নদী থেকে এসব নৌকা আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি অভিযানে জব্দ হওয়া লোভাছড়ার বিপুল পরিমাণ পাথর পাচারের উদ্দেশ্যে নদীপথে নিয়ে আসা হচ্ছিল। গোটাটিকর এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন নৌকাগুলো তীরে নোঙর করে মোগলাবাজার থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাথরসহ নৌকাগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. সজিব খান বলেন, “সিলেটের কোয়ারিগুলোতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। জনতা আটক করা নৌকাগুলো পুলিশে দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের জুলাই মাসে লোভাছড়া কোয়ারি থেকে জব্দকৃত প্রায় এক কোটি ঘনফুট পাথরের মধ্যে মাত্র ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর নিলামে দেখিয়ে বাকিটুকু গোপনে পাচার করা হচ্ছে। তার দাবি, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব পাথর পাচারে জড়িত।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিএমডি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশে নিলামের আড়ালে ১ কোটি ঘনফুটের বেশি পাথর পাচার করছে। এই সিন্ডিকেটে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তমিজ উদ্দিন চেয়ারম্যান জড়িত বলে দাবি নজরুল ইসলামের।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমদ বলেন, “স্থানীয়দের হাতে আটক নৌকাগুলো পুলিশ জব্দ করেছে। যারা এই ঘটনা প্রকাশ করেছেন, তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”