• ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সিলেটে কোরবানির হাট বাসাতে ‘ডেভিল-বিএনপি’ আঁতাত! তারেক রহমানের নিষেধ অমান্য

sylhetcrimereport
প্রকাশিত মে ২১, ২০২৫
সিলেটে কোরবানির হাট বাসাতে ‘ডেভিল-বিএনপি’ আঁতাত! তারেক রহমানের নিষেধ অমান্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের লাক্কাতুরায় আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির বহিষ্কৃত ও কিছু স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মামলাভুক্ত নেতাদের (ডেভিলদের) সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাট পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরে ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ তুঙ্গে।

তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা অমান্য

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশ— আওয়ামী লীগের ডেভিলদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও স্থানীয় নেতাদের এই উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নেতারা ক্ষুব্ধ।

‘ডেভিলদের’ সঙ্গে ২০ লাখ টাকার গোপন ফান্ড

সূত্র বলছে, হাট পরিচালনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মিলে ২০ লাখ টাকার একটি ফান্ড তৈরি করেছেন। এর মাধ্যমে মাঠ ইজারা, ডেকোরেশন, বিদ্যুৎ, মাইকিংসহ বিভিন্ন খরচ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

সরকারি সংস্থার তদন্ত অব্যাহত

লাক্কাতুরায় হাট বসানোর আবেদন করা হলেও এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা সংক্রান্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিলেট সদর ইউএনও বলেন, হাট পরিদর্শনের সময় বিতর্কিত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন, তবে তিনি তাদের পরিচয় জানতেন না।

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের কঠোর বার্তা

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন বলেন, “ডেভিলদের পুনর্বাসন নয়, বরং যিনি তাদের নিয়ে কাজ করছেন, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী বলেন, “ফ্যাসিস্টদের দোসরদের ঠাঁই নেই জাতীয়তাবাদী দলে। কেউ তাদের জায়গা দিলে দল তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।”

বিভক্ত মত, পরিষ্কার বার্তা যুবদলের

যেখানে অভিযুক্ত নেতা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন বা ডেভিলদের উপস্থিতিকে ‘তেমন কিছু না’ বলে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, সেখানে যুবদলের সাবেক নেতা সাহেদ আহমদ চমন বলেন, “ডেভিলদের সঙ্গে বসা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।” প্রয়োজনে আমি একাই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করবো তবুও ডেবিল সহযোগী হবো না।

স্থানীয়দের আপত্তি, যানজটে ভোগান্তির আশঙ্কা

লাক্কাতুরা এলাকায় পশুর হাট বসানো নিয়ে স্থানীয়রা আগে থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। অতীতে স্টেডিয়াম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে হাট বসিয়ে পরিবেশ ও সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে বলে জানান তারা।

সারাংশ:
বিএনপির কেন্দ্রীয় নীতিমালার বিরুদ্ধে গিয়ে স্থানীয় কিছু নেতার ডেভিলদের সঙ্গে হাত মেলানো দলের অভ্যন্তরে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি এখন প্রশাসনিক নজরদারির পাশাপাশি সাংগঠনিক তদন্তের মুখে পড়তে যাচ্ছে।

সূত্র: সিলেট মিরর২৪