• ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘জুলাই যোদ্ধা’র পরিবারকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

sylhetcrimereport
প্রকাশিত জুলাই ৬, ২০২৫
‘জুলাই যোদ্ধা’র পরিবারকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

সিকারি ডেস্ক:: দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জবরুল ইসলাম জগলুর বিরুদ্ধে একটি ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে একটি চোখ হারানো মারুফ আহমেদের পিতা আলমগীর মিয়া শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলমগীর মিয়া জানান, তার ছেলে মারুফ আহমেদ গত বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। একটি চোখ স্থায়ীভাবে হারিয়ে তিনি বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার সরকারি গেজেট নম্বর ৪৬৯ এবং মেডিকেল কেস আইডি ২৬৪৬৬।

আলমগীর মিয়া বলেন, “আমার ছেলে দেশ রক্ষায় জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছে, আর এখন আমরা পরিবারসহ জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি। আওয়ামী লীগ নেতা জগলু প্রকাশ্যে আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। শুধু আমার ছেলে নয়, আমিও একজন জুলাই যোদ্ধা। অথচ থানায় গিয়ে পরিচয় দেওয়ার পরও ওসি আমাদের অভিযোগ আমলে নেননি।”

তিনি জানান, ২ জুলাই জগলু তার দলবল নিয়ে এসে প্রকাশ্যে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরদিন তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কিন্তু ওসি কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং তিনি অভিযোগ নিয়েও নীরব থাকেন, যা তাকে আরও চিন্তিত করে তুলেছে।

আলমগীর মিয়ার দাবি, জগলুর বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে একটি শিশু হত্যার মামলাও রয়েছে, যা এখনও চলমান। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় জগলুর বিরুদ্ধে অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, “জগলু এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। বরং প্রশাসনের কিছু অংশ তার পাশে আছে বলেই মনে হচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, মানবাধিকার কমিশন ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জগলুকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।