
সিলেটে দলীয় নেতাকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এ অবস্থায় বিষয়টি তদন্ত করছে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল। এ ব্যাপারে খুব তাড়াতাড়ি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছে দলটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র।
বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর দর্শনদেউড়ি এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হন সিলেট মহানগরীর বিমানবন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল ইসলাম মিজান। তাকে শারীরিক নির্যাতন ও ন্যাড়া করে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসবের কারণ অবশ্য জানা যায়নি।
তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখনো চিকিৎসাধীন। রাজনৈতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে খুব একটি স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতাকর্মী আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হউক।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এর বেশী কিছু না বলে কেবল জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শেষে একটা প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠাবো।
এদিকে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর মোবাইলে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।