• ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গোয়াইনঘাটে দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে যন্ত্রদানব দিয়ে বালু লুট, নদীগর্ভে বিলীন বাড়িঘর-ফসলি জমি

sylhetcrimereport
প্রকাশিত জুন ২২, ২০২৫
গোয়াইনঘাটে দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে যন্ত্রদানব দিয়ে বালু লুট, নদীগর্ভে বিলীন বাড়িঘর-ফসলি জমি

নিজস্ব প্রতিবেদক:: গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ফেনাইকোনা গ্রামে পিয়াইন নদীর ইজারাবিহীন এলাকা থেকে যন্ত্রদানব ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু লুট। আমবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য দেলোয়ার, তার অন্যান্য ভাইসহ একটি চক্র দিন-রাত সমানতালে নদী ও নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে।

ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নির্বিচারে বালু লুটপাটের ফলে নদীর তীরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকসহ এলাকাবাসী এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের ওপর হামলা করা হয়, মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে পাঠানোর ভয় দেখানো হয়।

গোয়াইনঘাটের পিয়াইন নদীর উক্ত এলাকায় কোনো ইজারা না থাকলেও দেলোয়ার বাহিনীর লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারি কোটি কোটি টাকার বালু লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এসব বালু নিজেদের দাবি করে বালুবাহী নৌকা থেকে প্রতি ঘনফুট বালুর জন্য ৩ টাকা হারে চাঁদা তুলে নিচ্ছে।

এসবের সাথে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের বিট অফিসার সরাসরি জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল আহমেদকে ভুক্তভোগী জনসাধারণ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা অবহিত করলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনষ্ট হওয়া ফসলি জমির ছবি-ভিডিও পাঠালেও কালো টাকার চুক্তির কাছে অসহায় কৃষকদের কান্না স্থান পায়নি।

এ বিষয়ে জানতে দেলোয়ার মেম্বারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার এসআই ও বিট কর্মকর্তা জহর লাল দত্ত জানান, “মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের নির্দেশনায় দুই ওয়ার্ড সদস্যকে নিয়ে আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এই জায়গায় খালি তিন-চারটি স্টিল নৌকা পেয়ে তা সরিয়ে দেই। এরপর এখান থেকে আর কোনো বালু উত্তোলন হচ্ছে না।”

গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, “গতকাল পুলিশ পাঠিয়েছি, প্রয়োজনে আবারও পুলিশ পাঠাবো।”