
সিকারি ডেস্ক:: চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সাবেক দুই ছাত্রদল নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন শেরপুরের লছমনপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মধ্যে একজনকে ছাত্রদল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারও করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন— লছমনপুর ইউনিয়নের বড় ঝাউয়েরচর এলাকার সবুজ আহাম্মেদ (৩৫) ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকার আল আমিন ইসলাম সাগর (২৬)। সবুজ লছমনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং সাগর একই ইউনিটের স্থগিত হওয়া বর্তমান সভাপতি।
লছমনপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ জানান, বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে কুসুমহাটি বাজারের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে সবুজ ও সাগরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, এই দুই নেতা দীর্ঘদিন ধরে দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। সর্বশেষ বুধবার তারা দলীয় শক্তি প্রদর্শনের নামে বলায়েরচর ইউপি চেয়ারম্যানকে তার কার্যালয়ে লাঞ্ছিত করেন, লছমনপুর ইউপিতে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন এবং সচিবসহ অন্যদের বের করে পরিষদ ভবনে তালা দেন। এছাড়া আশপাশের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
পরবর্তীতে শেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রদল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আল আমিন ইসলাম সাগরকে সভাপতি পদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শারদুল ইসলাম মুরাদ জানান, ইতোমধ্যে গত ১৭ জুলাই সাগরের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তার পদ স্থগিত করা হয়েছিল।
এদিকে লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহিলা দলের নেত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে সবুজ ও সাগরসহ পাঁচজনকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ জাগো নিউজকে বলেন, “বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজের ঠাঁই নেই। যে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হবে, তার বিরুদ্ধেই দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”