• ২৬শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মামলা থেকে আ.লীগ নেতাদের বাদ দিতে উপজেলা বিএনপির চিঠি

sylhetcrimereport
প্রকাশিত জুলাই ২৪, ২০২৫
মামলা থেকে আ.লীগ নেতাদের বাদ দিতে উপজেলা বিএনপির চিঠি

সিকারি ডেস্ক:: জুলাই-আগস্টে সংগঠিত সরকারবিরোধী অভ্যুত্থানের একটি মামলায় (সিআর মামলা ৩৭৪/২০২৪) আওয়ামী লীগপন্থী ১৫ নেতাকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি চিঠি দিয়েছে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি।

২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর উপজেলার বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ স্বাক্ষরিত সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “বর্ণিত আসামিরা ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সমর্থক হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হলো।”

চিঠিতে মামলার বাদী সাহেদ আহমদের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বরও উল্লেখ রয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব ১৫ জনের নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে আছেন ছাত্রলীগের নেতা, যুবলীগ নেতা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের পরিচিত সমর্থকরাও।

চিঠিতে নাম উল্লেখিত ১৫ জন হলেন:
আসঝার মিয়া (১৪ নম্বর আসামি), আফছর মিয়া (২২), রুবেল আহমদ (৪৪), মাযহারুল ইসলাম মজনু (৪১), অলিদ মিয়া (৪৮), বাবুল মিয়া (৬৭), পিন্টু ওরফে সাইদুর রহমান (৬৯), আত্তর আলী (৭২), আ. ওয়াহাব (৭৩), আ. শহীদ (৭৬), আমির আলী (৭৭), নাবিল আহমদ (৭৮), শায়েস্তা আল মামুন (৮০), আফরুজ মিয়া (৮৬), সাহেদ আহমদ (৯০)।

তালিকাভুক্তদের মধ্যে সাইদুর রহমান পিন্টু সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং আমির আলী স্থানীয় যুবলীগের নেতা। অন্যরাও আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে স্থানীয় বিএনপি নেতারাই স্বীকার করেন।

চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তি ও পাল্টা চিঠি
বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ বলেন, তারা স্থানীয়ভাবে কমিটি করে যাচাই করে দেখেছেন, এরা বিএনপির সমর্থক। সেই ভিত্তিতেই মামলায় থেকে অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করা হয়। তবে তিনি এক পর্যায়ে দাবি করেন, এ ধরনের কোনো চিঠি তারা দেননি।

দলীয় সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দীন প্রথমে চিঠির বিষয়ে অস্বীকৃতি জানালেও পরে বলেন, “এটা সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে হবে। তিনিই এসব করেছেন।” পরে আবারও সাধারণ সম্পাদক মিছবাহ দাবি করেন, তাদের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে চিঠি তৈরি করা হয়েছে। একই দিনে (২২ জুলাই) বিকেলে তিনি থানায় আরেকটি চিঠি পাঠান, যেখানে পূর্বের চিঠিকে ভুয়া ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ বলছে, কোনোভাবেই বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই
দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “আসামিদের বাদ দিতে দলের পক্ষ থেকে আবেদন করা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া আবেদনের ভিত্তিতেও আসামি বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। তদন্তেই ঠিক হবে কার ভূমিকা কী ছিল।”

সূত্র: সমকাল