তাঁরা মানুষ কিভাবে গর্ভধারণ করে এবং কিভাবে তার জন্ম হয়, সে উত্তর না দিয়ে বলতে পারেন—মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি এবং তিনি অসীম কুদরতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ কিভাবে মাটি থেকে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন, কিভাবে তিনি মৃতকে জীবিত এবং জীবিতকে মৃত করেন তা বর্ণনা করা। বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করা যেন শিশু বুঝতে পারে পৃথিবীতে মানুষের আগমন ও মৃত্যু কোনো উপায়-উপকরণের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং তা পুরোপুরি আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল।
এরপর শিশুকে বোঝাতে হবে মা-বাবাকে কেন প্রয়োজন। তাকে বলতে হবে, আল্লাহ মানবশিশুর পরিচর্যা ও প্রতিপালনের দায়িত্ব মা-বাবার ওপর দিয়েছেন। পৃথিবীর অনেক পশুপাখির বাচ্চাদের মতো মানবশিশুরা অযত্ন ও অবহেলায় মৃত্যুবরণ না করে। মা-বাবা না থাকলে শিশুদের অযত্ন হতো। তারা লেখাপড়া করে আদর্শ মানুষ হতে পারত না। তাদের অনেকেই ঘরহীন, আশ্রয়হীন হয়ে জীবন কাটাত। পশুপাখির জীবন যেমন বিপদ ও অনিশ্চয়তায় ভরপুর, তাদের স্থায়ী কোনো আবাস বা ঠিকানা নেই।
এভাবে শিশুসন্তানকে উত্তর দিলে তারা একদিকে যেমন সন্তুষ্ট হবে, অন্যদিকে কথাগুলো মিথ্যা হবে না। আবার স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়াও সম্ভব হবে। উপরন্তু শিশুটি আল্লাহর কুদরত ও ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত হবে। তার অন্তরে ঈমানের ভিত দৃঢ় হবে। সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, তাঁদেরকে গুরুত্ব দিতে শিখবে। এমন প্রশ্নের উত্তরে শিশুদের ঈসা (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনা করা যায়। তিনি আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন হিসেবে মায়ের কোলে আগমন করেন এবং নবজাতক হিসেবে কথা বলেন। ঈসা (আ.) শৈশবে নিজের ঈমান ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা দেন। ইত্যাদি।
আল্লাহ সব শিশুর জীবন সুন্দর করে দিন। আমিন।