
সিকারি ডেস্ক:: ধলাই নদীর লীজবহির্ভুত বাংকার থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী নৌকার ধাক্কায় আহত হয়েছেন পর্যটকবাহী নৌকার মাঝি ও পর্যটক।
রবিবার (২৭ জুলাই) সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরে পর্যটক বহনকারী নৌকার সাথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নৌকার মাঝি বতুল্লা মিয়া।
এর আগে গত ২৪ জুলাই বালুবাহী নৌকা ধাক্কা দেয় পর্যটকের নৌকায়। এতে আহত হয় পর্যটকবাহী নৌকার মাঝি মনাই ও যশোর থেকে আসা পর্যটক ইশতিয়াক। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন। গত প্রায় ১৫দিন থেকে পর্যটকবাহী নৌকার সাথে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে অনেক পর্যটক ও মাঝি আহত হয়েছেন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে এসব ঘটনায় মাঝিরা নিয়মিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় নৌকার মাঝিরা পর্যটক বহন করা বন্ধ করে দেয়। সাদাপাথর পর্যটন ইন্জিন চালিন নৌকা মাঝি যুব সমিতি’র পক্ষ থেকে বলা হয় পর্যটন ঘাট থেকে বালুর ব্যবসা ও পর্যটকবাহী নৌকা চলাচলের রাস্তা থেকে বালু পাথর বহনকারী নৌকা না সরালে পর্যটক বহন করা হবে না। প্রায় ৪ ঘন্টা নৌকা চলাচল বন্ধ থাকার পর উপজেলা প্রশাসনের চাপে আবারও মাঝিরা পর্যটক বহন করতে বাধ্য হোন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোপওয়ে বাংকার ও ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট থেকে শত শত ইঞ্জিন চালিত ও বারকি নৌকা দিয়ে বালু নিয়ে আসা হচ্ছে। এসব বালু সাদাপাথর নৌকা ঘাটে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। যার ফলে পর্যটকবাহী নৌকা চলাচল করতে পারছে না। রবিবার সাদাপাথর নৌকা ঘাটে খাস কালেকশনের দায়িত্বে ছিলেন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অর্জুন লাল রায়। তার সামনে লিজ বহির্ভুত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করে ও নৌকা ঘাট দখল করে বালু স্তুপ করে রাখা হলেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
সিলেটের জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সাথে কথা হলে তিনি জানান এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।