
প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে সিসিকের এক নারী কর্মচারীর মোবাইল ও টাকা ছিনতাই ঘটনায় উদ্বিগ্ন সিসিকের কর্মচারী কল্যান পরিষদ। এই ঘটনার এক সপ্তাহ অতিক্রম হলেও থামেনি হেলাল আহমদ রুবেলের হুমকী। উপরন্তু ওই নারী মহিলার মোবাইলের বিকাশে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা আত্মসাত করছে অভিযুক্ত সিসিক কর্মচারী। নিজের মোবাইল ছিনতাই ঘটনার পর ওই নারী কর্মচারী নিজেকে নিরাপত্তাহীন উল্লেখ করে গেল ৬ মার্চ সিলেট কোতয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জন্ম নিবন্ধন শাখায় কর্মরত ফাহিমা আক্তার উল্লেখ করেন, একই অফিসে এমএলএসএস পদে কর্মরত উত্তর বালুচর,জোনাকী ৩৪, আল-ইসলাহ নিবাসী মৃত মনু মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ রুবেলের সাথে দীর্ঘদিনের জানাশোনা রয়েছে। সেই সুবাদে ফাহিমা আক্তার দুই বছর আগে পারিবারিক কারণে চেক মাধ্যমে সুদ ব্যবসায়ী হেলাল আহমদ রুবেলের কাছ থেকে চার লক্ষ আশি হাজার (৪,৮০,০০০/-) টাকা গ্রহণ করি। ইন্টারেস্টের শর্ত অনুযায়ী প্রতি মাসে পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০) টাকা হিসাবে পরিশোধের মাধ্যমে সুদাসল টাকা পরিশোধ হইবে। সেই শর্ত মোতাবেক প্রতি মাসে পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০) টাকা হিসাবে ১২টি কিস্তি প্রদানের পর ফাহিমা আক্তার তার নামীয় চেক এর পাতা ফেরত চাইতে গেলে রুবেল তাতে অপারগতা প্রকাশ করে। এমনকি তার চাহিদা অনুযায়ী আরও দুই লক্ষ (২,০০,০০০/-) টাকা প্রদান না করলে সে মিথ্যা অপবাদ ও গুজব ছড়িয়ে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে ফাহিমাকে হেয় করবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে।
উল্লেখ্য ফাহিমার প্রথম বিয়ে ডিভোর্স এর পর চলতি বছরের ০৩ জানুয়ারি আমেরিকা প্রবাসী জনৈক লোকের সাথে ২য় বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। এই ঘটনার পর থেকে রুবেল আরও বেশি টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। অন্যথায় ফাহিমার ২য় স্বামীকে বিভিন্ন অপপ্রচারসহ মিথ্যা কালিমা লেপন করে নতুন সংসার ভেঙ্গে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এদিকে বিবাহ পরবর্তী ছুটি কাটিয়ে ফাহিমা কর্মস্থলে যোগদিতে চলতি মাসের ২ তারিখ অফিসে যায়। খবর পেয়ে রুবেল ফাহিমাকে ডেকে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ৫ম তলায় নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে হাতে থাকা স্যামসাং গ্যালাক্সী এ-১৫ মোবাইল ফোন ও সাথে ভ্যানেটি ব্যাগে থাকা নগদ পয়ত্রিশ হাজার (৩৫,০০০/-) টাকাসহ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। একই সাথে এই ঘটনা জানাজানি করলে ফাহিমাকে অফিসে আসতে দেবে না এবং প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে।
অভিযোগে ফাহিমা উল্লেখ করেন, বর্তমানে ফাহিমার ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন থেকে রুবেল আত্মীয়স্বজনদের বিভিন্ন অপবাদ, হুমকি এবং চাঁদা দাবি করে আসতেছে। যেহেতু এই মোবাইল নম্বরটি দেশে-বিদেশে এবং অফিসে সকলের কাছে পরিচিত। সেই হিসাবে নম্বর পূজি করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে সে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে ফাহিমা উল্লেখ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই তারেক আজিজ অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।