• ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজমিরীগঞ্জে ডায়রিয়া রোগীর চাপ, হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

Desk
প্রকাশিত এপ্রিল ২২, ২০২৫
আজমিরীগঞ্জে ডায়রিয়া রোগীর চাপ, হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

ছবি: নিজস্ব

আজমিরীগঞ্জে কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেশী। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে।

এতে রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগী দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে দিনমজুর, স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি।

রোদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি মিলেছে না কোথাও। ছোট-বড় সবাই গরমে কাবু হচ্ছে। অনেক সময় আমাদের নিজেদের অজান্তেই দূষিত পানি ঢুকে যাচ্ছে পেটে, আর দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া। ডায়রিয়া আক্রান্তদের অনেকে আমাশয়, টাইফয়েড জ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছে না। রোগীদের সেবা দিচ্ছেন কর্তব্যরতরা। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের অভিযোগ- হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঔষধ থাকলেও শুধুমাত্র খাবার স্যালাইন আর প্যারাসিটামল ছাড়া বাকী ঔষধগুলো বাহিরের ফার্মেসী থেকে চরামূল্যে আনতে হয়। সেই সাথে রয়েছে কতিপয় দালালদের হয়রানী।

ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে গরমে বাইরের দূষিত পানি পান ও নষ্ট খাবার খাওয়াসহ নানা কারণে। গরমে ডায়রিয়ার ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এছাড়া গরমে খাবারও দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সেই পঁচাবাসি খাবার খেলে ডায়রিয়া হয়। এ কারণে গরমে শিশুরা যাতে বিশুদ্ধ পানি পান করে, সতেজ খাবার খায় ও প্রতিবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেয়-সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তবে ডায়রিয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ওরস্যালাইন খেলেই ভাল হয়ে যায়। তবে ‘সিবিয়ার ডায়রিয়া’ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা নিতে হবে। কারণ সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে। বিশুদ্ধ পানি পান এবং পঁচাবাসি ও বাইরের শরবত খাওয়া পরিহার করার পরামর্শ দেন তিনি।

অপর এক চিকিৎসক বলেন, বাইরের খোলা শরবত বা অন্য কোনো কোমল পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অধিকাংশ ডায়রিয়া রোগীর ওষুধ প্রয়োজন পড়ে না। শুধু খাবার স্যালাইনেই সারে। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। ডায়রিয়ার সঙ্গে কখনও কখনও জ্বর, বমি কিংবা পেটের ব্যথাও হতে পারে। কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে বারবার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বেশি করে তরল খাবার যেমন ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি খাওয়াতে হবে। আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ টিউবওয়েলের পানি খাওয়াতে হবে। টিউবওয়েলের পানি পাওয়া না গেলে পুকুর বা নদীর পানি চুলায় চড়িয়ে বুদবুদ ওঠা থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে খাওয়াতে হবে।আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন এর সাথে কথা বললে  তিনি  জানান, ডায়রিয়ার স্যালাইন  এর সংকট রয়েছে।আমরা জুম মিটিং করছি পুরো জেলা জুরে স্যালাইন এর সমস্যা, আমাদের হবিগঞ্জ ডুকলেই আমরা সেবা চালিয়ে দেব।

হাসপাতালে কর্মরত এক নার্স কে জিগ্যাসা করলে তিনি জানান হাসপাতালের স্টকে কোন মাল নেই। হাসপাতালে কর্মরত ডাঃজুলকার নাইন এর সাথে মুটোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন টি রিসিভ করেননি।