
সিকারি ডেস্ক:: নওগাঁয় আদালতে যাওয়ার পথে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে সিলেটে আত্মগোপন করেছিলেন স্বামী। তবে শেষ পর্যন্ত র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতায় দুইদিনের মধ্যে ধরা পড়লেন তিনি।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জৈন্তাপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত জুথি নওগাঁ সদর থানার শালুকা সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরের কাপড় ব্যবসায়ী মো. তানভীর চৌধুরীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরই জুথি জানতে পারেন, তানভীরের আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হলে তিনি স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন এবং শেষ পর্যন্ত বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে খরপোষ ও যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন।
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে মায়ের সঙ্গে আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় ভবানীপুর কাঠালতলী মোড়ে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা তানভীর ও তার সহযোগীরা জুথির গতিরোধ করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। জুথি অস্বীকৃতি জানালে তানভীর ধারালো ছুরি দিয়ে তার পেটে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জুথিকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই জুথির মা বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিপিএসসি সিলেট এবং র্যাব-৫ রাজশাহীর একটি যৌথ দল অভিযান চালায়। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জৈন্তাপুর থানাধীন চৈলাখেল নিজপাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মূল আসামি মো. তানভীর চৌধুরীকে (২৬)। তিনি গাজীপুর জেলার কাশিমপুরের সারদাগঞ্জ এলাকার বাবুল চৌধুরীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।