
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আকস্মিক অভিযানে টিকিট কালোবাজারি, নির্মাণ কাজে অনিয়ম, বিনা টেন্ডারে পুরনো রড বিক্রি ও যাত্রীসেবার সামগ্রী সরবরাহে বড় ধরনের দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে দুদক সিলেট অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন এবং সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে উঠে আসে, আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে যাত্রীসেবার জন্য নির্ধারিত ১৪টি পণ্যের মধ্যে নিয়মিতভাবে শুধুমাত্র সাবান ও বদনা সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ পুরো তালিকার পণ্য সরবরাহ দেখিয়ে প্রতিমাসে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বছরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এছাড়া অভিযানকালে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির প্রমাণ, নকশা ছাড়াই নতুন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার এবং রেলওয়ের বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আজমাইন মাহতাব ও রেজাউল হকের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়া সাড়ে ৩ টন পুরাতন রড বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযান শেষে দুদকের দুই কর্মকর্তা জানান, এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা অধিকতর তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।