
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সুনামগঞ্জের ছাতকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের এমদাদনগর গ্রামের চৈলতার ঢালা সংলগ্ন গোয়াপাকুরা হাওর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯টি ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি নৌকাসহ সাতজনকে আটক করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ছাতক সেনাবাহিনী ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মুহতাসিম আহনাফ শাহরিয়ার ও নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন।
বালু খেকো চক্রের দাপট
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র ড্রেজার ও বোমা মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে আসছিল। চক্রটি অস্ত্রের মহড়াও চালায়। প্রতিদিন কোটি টাকার বালু লুটপাট করে এদের একটি অংশ স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনীতিকদের পকেটে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার ফলে নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ইসলামপুরের দৌলতপুর, নাছিমপুর, শারপিননগর, রহিমেরপাড়া, সোনাপুর, কাজিরগাঁও, পুর্ব লুভিয়া, চাইরগাঁও, রহমতপুর, দারোগাখালি, বাহাদুরপুর, গোয়ালগাঁও, নোয়াগাঁওসহ প্রায় ২৫টি গ্রামের সড়ক, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ। ইতোমধ্যে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৯০০টির বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা।
আটক ও জব্দকৃত বালু
অভিযানে আটক ৯টি নৌকায় মোট ১০,২০০ ঘনফুট বালু ছিল বলে জানায় যৌথ বাহিনী।
আটককৃতরা হলেন: মোশাহিদ মিয়া (৩৫), ছোট ঘাগটিয়া, জামালগঞ্জ, জসিম উদ্দিন (৩০), নুরপুর, জামালগঞ্জ, রমজান আলী (২৪), সদরকান্দি, সাচনা, মাইনুদ্দিন (২৮), দুর্লভপুর, সাচনা, রুবেল মিয়া (২৭), সাচনা, নবাব মিয়া (৩২), ফুলডরি, বিশ্বম্ভরপুর, বকুল দাশ (৫৫), কৌয়া, বিশ্বম্ভরপুর।
নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে এবং এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।