
মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্তে সরকারের একটি বাহিনীর মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে ইসুফ উদ্দিন করতেন সোর্সের কাজ। প্রায় ২৩ বছর ধরে সোর্সের আড়ালে সে নিজেই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। প্রভাব খাটিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যান তিনি।
সীমান্তের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইউসুফ উদ্দিনকে মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে থানার এসআই সুব্রত কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশ প্রায় দেড়ঘন্টা বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে ১২৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৭০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাদক ব্যবসায়ী ইউসুফ উদ্দিন ষাটমারপাড় গ্রামের মৃত শরবত আলীর ছেলে। বুধবার বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে।
সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ উদ্দিনকে সরকারের একটি বাহিনী সীমান্তের মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে সোর্সের দায়িত্ব প্রদান করে। প্রায় ২৩ বছর ধরে সোর্সের আড়ালে সে নিজেই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।প্রভাবখাটিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালাতেন। একসময় এলাকায় হয়ে ওঠে সে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সোর্স পরিচয়ে বিভিন্ন লোকজনকে হয়রানীরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান মোল্লা বুধবার সন্ধ্যায় মাদক ব্যবসায়ী ইউসুফ উদ্দিনের গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, সে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়। বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।