• ২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বিএমজেএ এর মৌসুমী ফল উৎসব

sylhetcrimereport
প্রকাশিত জুন ২৯, ২০২৫
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বিএমজেএ এর মৌসুমী ফল উৎসব

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, আল্লাহ পাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে আল্লাহ আমাদের সুস্থ ও সবল রেখেছেন। এখানে কিছু শিশুকে অসুস্থ দেখছি। তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ ধরনের শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। তাদের উৎসাহিত করতে আজকের মৌসুমী ফলের উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি মহতী উদ্যোগ। শাবিপ্রবির পক্ষ থেকেও প্রয়োজনে সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তবানদেরও এ ধরনের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এই ধরনের উদ্যোগ ও প্রয়োজনগুলো বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরুন। যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসব জানতে পারবে, তখন অনেকেই এ ধরনের শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। ছেলেমেয়েদের পরিপূর্ণ সহযোগিতায় যা যা প্রয়োজন, আমরা যাতে তা করতে পারি, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি ফল উৎসবের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।  তিনি শনিবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে গ্রীন ডিসএ্যাবল্ড ফাউন্ডেশন (জিডিএফ) এর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে মৌসুমী ফল উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
গ্রীন ডিসএ্যাবল্ড ফাউন্ডেশন (জিডিএফ) মহাসচিব ও নির্বাহী পরিচালক মো. বায়জিদ খানের সভাপতিত্বে ও সিলেটের সময়ের মাল্টিমিডিয়া ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রতি সমাজের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সবসময় তাদের সাপোর্ট দিতে হবে, যাতে তারা সমাজের মূল ধারায় সক্রিয় হয়ে তাদের মেধা ও মননের যে অবদান, তা সমাজে রাখতে পারে। তাদের অবদান গ্রহণ করাটাই হচ্ছে সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, আমি শুনেছি, সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রতিমাসে যে সহযোগিতা দেওয়া হতো, তা পুনরায় চালু করা হবে। আমরা অন্যান্য জায়গায় যতটুকু সহযোগিতা দেই, তার থেকেও বেশি বিশেষ সাপোর্ট দিতে হবে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের। তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা হচ্ছে শিক্ষা। তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে। আমরা চাই, এই শিশুরা যেন সমাজে আলাদা করে নয়, বরং সমানভাবে শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কালাম আহমদ চৌধুরী, সহকারী রেজিষ্ট্রার হাবিবুর রহমান হাবিব, এসোসিয়েশনের সদস্য শাহীন আহমদ, মাছুম আহমদ চৌধুরী, বাবর জোয়ারদার, সুলেমান আহমদ, রেজওয়ান আহমদ, জাবেদ ইমরান, মোশারফ হোসেন অমিত, কৃতিশ তালুকদার, জিডিএফ সদস্য ফাতেমা বেগম, শিলন বেগম, অফিস সমন্বয়কারী শারমিন আক্তার রেবা, অভিভাবক রুফিয়া বেগম, সীমা বেগম, জিডিএফ-ডিকেফ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাহজাহান, আফজল শিকদার, সরুফা বেগম, কম্পিউটার অপারেটর তাজকিরা জান্নাত সুইটি, অফিস সহায়ক নুরজাহান বেগম, শিক্ষার্থী নাদিয়া বেগম, তাহমিনা আক্তার মৌমি, খাদিজা বেগম, আফসানা বেগম, জুইরানী দাস, রাদিয়া জান্নাত তালুকদার, রেশমা আক্তার রিয়া, ইশা বেগম, সমিরঞ্জন বিশ্বাস, সুয়েব আহমদ, ফাইজান আহমদ প্রমুখ।-বিজ্ঞপ্তি