• ১লা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রকৃতির মায়াবী ছোঁয়া ,সৌন্দর্যে মোড়ানো লক্ষণছড়া

sylhetcrimereport
প্রকাশিত জুলাই ৩১, ২০২৫
প্রকৃতির মায়াবী ছোঁয়া ,সৌন্দর্যে মোড়ানো লক্ষণছড়া

সংগৃহিত

সিকারি ডেস্ক:: অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা। এই উপজেলা সবুজ প্রকৃতির আচ্ছাদনে ঘেরা। এখানকার পরতে পরতে ডানা মেলে আছে প্রকৃতির রূপ-সৌন্দর্য। জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, মায়াবী ঝর্ণা- এসব অপরূপ স্থানে জন্য দেশ-বিদেশে বেশ পরিচিতি রয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলার।

এই উপজেলারই আরেক বিস্ময়কর সৌন্দর্যের নিদর্শন লক্ষণছড়া। পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের আস্তরণ, সেই পাহাড়ের বুক চিড়ে চলেছে শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। পাথর ছড়ানো আকাশে নীলের ছায়া। রূপ-লাবণ্যে যৌবনা লক্ষণছড়া নিজের পরতে পরতে সাজিয়ে রেখেছে সম্মোহনী সৌন্দর্য। যান্ত্রিক কোলাহল থেকে মুক্ত নির্জন অরণ্যের সাহচর্য পেতে লক্ষণছড়ার বিকল্প নেই। এখানে আছে সবুজের সমারোহ, দিগন্ত বিস্তৃত সাদা মেঘের খেলা, পাথর ছড়ানো সাদা জলরাশি আর পাখিদের কলতান। প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই!

‘লক্ষণছড়া’ এবং ‘পান্তুমাই’ গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে অবস্থিত দুটি সুন্দর স্থান। পান্তুমাই একটি ঝর্ণা, যা ‘বড়হিল ঝর্ণা’ নামেও পরিচিত। আর লক্ষণছড়া হলো একটি পাথুরে এলাকা, যা পান্তুমাই ঝর্ণার কাছেই অবস্থিত এবং দেখতে অনেকটা বিছানাকান্দির মতো। এই দুটি স্থান এক দিনেই ঘুরে আসা যায়।

পান্তুমাই এবং লক্ষণছড়া- দুটো স্থানই সিলেট শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত। সিলেট থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় এসে নৌকা অথবা অন্য কোনো যানবাহনে করে এখানে যাওয়া যায়। সিলেট শহর থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় এসে পান্তুমাই যাওয়ার পথে অথবা পান্তুমাই থেকে ফেরার পথে লক্ষণছড়া ঘুরে আসা যায়। পান্তুমাই থেকে হেঁটে অথবা স্থানীয় যানবাহনে করে লক্ষণছড়ায় যাওয়া যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নাজমুল ইসলাম রিপন বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলায় যে কয়টি পর্যটন স্পট রয়েছে, তার মধ্যে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য লোভনীয় স্থান লক্ষণছড়া। লক্ষণছড়ার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়নি এমন কথা কেউ বলতে পারবে না।

তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা একটু অনুন্নত হওয়ায় লক্ষণছড়ার পরিচিতির পরিধিটা একটু কম। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে কোনো কার্পণ্য করেন না। প্রতিদিন বিকেলবেলায স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মুখর থাকে লক্ষণছড়া। জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণার চেয়ে এই ছড়ার সৌন্দর্য আরও বহুগুণ বেশি। সরাসরি সেতুর উপরে উঠে ছবি তোলা ও সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেও পর্যটক আসেন, তবে তা খুব কম। লক্ষণছড়া এলে পান্তুমাই ও বিছনাকান্দি মিলিয়ে ৩টি পর্যটন স্পট এক সাথে ভ্রমণ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এটি হতে পারে গোয়াইনঘাট উপজেলার একটা সম্ভাবনাময় পর্যটনকেন্দ্র।