জৈন্তাপুর উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গাইড বই বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। এতে শিক্ষকদের বাধ্যবাদকতার কবলে পড়ে চরম বিপাকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। বই প্রকাশনীর তরফ থেকে উপহার সহ সম্মানী পাচ্ছেন অধিকাংশ শিক্ষকরা এমনটাই আলোচনা ও গুঞ্জন অভিভাবক মহলে।
সম্প্রতি জৈন্তাপুর উপজেলার শিক্ষাঙ্গনে প্রভাব বিস্তার করছে পাঞ্জেরী এবং লেকচার সহ বিভিন্ন গাইড বই প্রকাশনী। বিক্রি বাড়িয়ে ব্যবসায়িক মুনাফা অর্জনে তারা রীতিমত শিক্ষকদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে জৈন্তাপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কথিপয় শিক্ষক লেকচার কিংবা পাঞ্জেরী গাইড ক্রয় করার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাইড বই বাজারে আসার পর পরই কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের পছন্দমত ক্রয় করে, কিন্তু সেটা শিক্ষকদের মনপুত না হওয়ায় বইগুলো ফেরত দিতে বা পরিবর্তন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এতে অনেক বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান (লাইব্রেরী) বইগুলো ফেরত নিচ্ছে না, তার কারন অনেক শিক্ষার্থী বইয়ের মাঝে নিজের নাম লিপিবদ্ধ করে ফেলেছে। একটি সূত্রে জানা গেছে ব্রিগেডিয়ার মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিলন তালুকদার, ওবায়দুল কাদের, জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহজাহান, শুক্ল দেব নাথ ও মাহমুদুল হাসান সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন শিক্ষক কেউ লেকচার আর কেউ পাঞ্জেরী গাইড বই কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের বাধ্য করতেছেন ।
জৈন্তাপুর উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের, বার বার পরিবর্তন করে গাইড বই কেনার সামর্থ তাদের নেই। শিক্ষকরা যদি মানবিক না হয় এরূপ বাণিজ্যিক হয়ে পড়েন তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম অনিশ্চিয়তা বিরাজ করবে। শিক্ষার্থীরা বাজার থেকে তাদের পছন্দমত গাইড বই কিনতে পারে, এতে কেউ তাদেকে বাধ্য করাটা সম্পূর্ণ অনুচিত। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় অভিভাবকরা।
এব্যাপারে জৈন্তাপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানা জাফরিন রোজির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আমার বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক গাইড বই বাণিজ্যে জড়িত আছে কিনা এখনো আমার জানা নেই। আর গাইড বই ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরও কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে তিনি দ্রæত ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্থ্য করেন। অন্যদিকে উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আজিজুল হক খোকন বলেছেন বর্তমান কারকলামে গাইড বইয়ের কোন প্রয়োজন নেই। শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাকলে ছাপা হওয়া বইগুলো বাজারেই থেকে যাবে।
সিলেট ক্রাইম রিপোর্ট/এস এ