• ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাদাপাথর লুট, আরেকজন গ্রে ফ তা র

sylhetcrimereport
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
সাদাপাথর লুট, আরেকজন গ্রে ফ তা র

সংগৃহিত

সিকারি ডেস্ক::   কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর লুটের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া সুনীল বিশ্বাস (৩১) উপজেলার বিলাজুর গ্রামের ধরনী বিশ্বাসের ছেলে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সুনীলকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ। তিনি জানান, ১৫ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জ থানায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন ১৯৯২ এর ৫ তৎসহ দণ্ডবিধি ৩৭৯/৪৩১ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ (সোমবার) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে পাথর লুটের মূলহোতা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির (পদ স্থগিত) সভাপতি সাহাব উদ্দিনকে সিলেট নগরীর কুমারপাড়ার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৯)।র‌্যাবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিএসসি সিলেটের একটি আভিযানিক দল ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট শহরের কোতোয়ালী থানার কুমারপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা সাহাব উদ্দিনকে ওই সময় ঘেরাও করে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সাহাব উদ্দিন (৫৪) ভোলাগঞ্জ এলাকার মৃত আ. বারীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে আলোচিত সাদা পাথর লুট ছাড়াও আরও সাতটি মামলা রয়েছে। সাদাপাথর লুটপাটে সম্পৃক্ত থাকায় কেন্দ্র থেকে তার দলীয় সব পদ স্থগিত করা হয়। এরপর দুদকের প্রাথমিক তদন্তে সাদা পাথর লুটেরার তালিকায় সাহাব উদ্দিনের নাম আসে। এর আগে ১১ আগস্ট রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সাহাব উদ্দিনের সব পদ স্থগিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ বিএনপির নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।’

প্রসঙ্গত, কর্মজীবনে আশির দশকে একজন কাঠুরিয়া ছিলেন সাহাব উদ্দিন। সম্পৃক্ত হোন ভারতীয় পণ্য ও স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে। একপর্যায়ে শত শত বিঘা সরকারি খাসজমি দখল করে হয়ে যান কোটি কোটি টাকার মালিক। এরপর রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতা বনে যান। গত বছরের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের কারণে নির্মাণাধীন ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর, রোপওয়ে বাঙ্কার, পুলিশ ফাঁড়িসহ অসংখ্য স্থাপনা লুটপাট ও হামলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।