কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫নং উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের নাপিতখাল ও মাঝেরগাঁও সীমান্ত এলাকা হওয়ায় সেখান থেকে নিয়মিত চিনি বিড়ি মদ মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে আসছে।
এলাকাবাসী জানান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মুস্তাকিম আহমদ ফরহাদ, আহবায়ক কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন, আবু বকর, আলা উদ্দিন, ওসমান গনি, শাহাব উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, রফিক আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা আলী নুর এর নেতৃত্বে চলছে পুলিশ ও বিজিবির নামে টাকা উত্তোলন এবং চাঁদা বানিজ্য।
অবৈধভাবে ভারতের চিনি ও মাদকদ্রব্য অবৈধ ব্যবসা থেকে পুলিশ বিজিবির নাম ভাঙ্গিয়ে এদের সিন্ডিকেট প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এবং জাতীয়তাবাদী যুবদলের সুনাম বিনষ্ট করে ফায়দা লুটছে এই সিন্ডিকেট ৫নং উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান উল্লেখিতরা চাঁদা বানিজ্য করে দলের ইমেজ ধ্বংস করছে এদের বিরুদ্ধে কঠিন সাংগঠনিক ব্যবস্হা নেওয়া দরকার।
কিছুদিন আগে চিনি এবং চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের ভিডিও প্রকাশ করতে গিয়ে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক পেইজ “ম্যাসেজ টিভির” আব্দুল গফফার সহ কয়েকজন আহত হন, পরে আব্দুল গফফার বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
১৪ সেপ্টেম্বর চাঁদা উত্তোলন কে কেন্দ্র করে একটি মারামারি সংঘটিত হয়। এতে উত্তর জাঙ্গাইলের আইয়ুব আলী বাদী হয়ে যুবদল কর্মী নিজাম উদ্দীন, আবু বক্কর সহ ১৩ জনকে আসামি করে সিলেট জজকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে ২০১৩ সালে ছাত্রলীগ থেকে যুবদলে যোগদানকৃত নিজাম উদ্দিন, আবু বক্কর নিজেকে এখন স্বঘোষিত নেতা দাবি করছে জাতীয়তাবাদী যুব দলের নাম ব্যবহার করে এই সক্রিয় সিন্ডিকেট ৫নং উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের নাপিতকাল ও মাঝেরগাঁও এলাকায় ভারতীয় চিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন পুলিশ বর্ডার গার্ড বিজিবির নাম ব্যবহার করে চাঁদা উত্তোলন করছেন বলে তথ্যে জানা গেছে।
প্রতি ৫০ বস্তা চিনি হইতে তাহারা ৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়।বিগত মাসের ৫ তারিখের পর থেকে যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেক টাকা উত্তোলন করেন এবং টাকা উত্তোলন কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বড় ধরনের মারামারি ও সংঘটিত হয়।
সিলেট ক্রাইম রিপোর্ট/সানজিদা