• ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীর দাবি জামায়াত কর্মীকে যুবলীগ নেতা দাবিতে অপপ্রচার

Desk
প্রকাশিত মার্চ ২০, ২০২৫
পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীর দাবি জামায়াত কর্মীকে যুবলীগ নেতা দাবিতে অপপ্রচার

ছবি : সংগৃহীত

গত ১২ মার্চ সিলেট প্রেসক্লাবে অবৈধভাবে বালু লুটপাট, চা বাগানের ভূমি দখলসহ মাটি চুরির মামলার আসামিরা সংবাদ সম্মেলন করে সিলেট সদর উপজেলার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। জামায়াত কর্মী মো. জয়নুল হককে যুবলীগ নেতা দাবি করেছেন মহালদিক গ্রামের আবদুল করিম গং। এর প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের দোসর আবদুল করিম গংয়ের সদস্যদের মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন জামায়াত কর্মী মহালদিক গ্রামের ব্যবসায়ী মো. জয়নুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহালদিক গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহালদিক ছড়ার স্লুইস গেইটটির নিচ থেকে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মহালদিক গ্রামের মৃত রইছ আলীর পুত্র স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন ও তার সহযোগী নেতার প্রভাবে মৃত মজু মিয়ার পুত্র ফ্যাসিস্ট এর সহযোগী ইউনুস আলী ও মৃত উমর আলীর পুত্র আবদুল করিম গং রা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে বালু লুটপাট করে আসছে। এ ছাড়া চিহ্নিত এ প্রভাবশালী চক্র কর্তৃক মাটি কাটা চা বাগানের ভূমি দখলসহ নানারকম রাহাজানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এলাকার নিরিহদের অভিযোগে আমি বিভিন্ন সময় এসব অন্যায় অপকর্মের প্রতিবাদ করায় ফ্যাসিবাদের সহযোগিরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করে আসছিলো। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পরও এই চক্র থেমে নেই। ছড়ার বালু লুট, সাধারণ মানুষের ফসলি জমির টপসয়েল কেটে রাতের আঁধারে ট্রাকযোগে বিক্রি করে আসছে। এছাড়া চা বাগানের ভূমি দখলসহ এ চক্রের সদস্যরা ৪/৫টি মামলার পলাতক আসামি। মহালদিক গ্রামের ইউনুস আলী ও নিজাম উদ্দিন ইতোমধ্যে কেওয়াছড়া টি গার্ডেনের ভূমি জবর দখল ও মাটি চুরি, গাছ চুরি ও ঘর জালানোর দায়ে জেল খেটেছেন। একই এলাকার নূর মিয়া ও আব্দুল করিম একাধিক মামলার আসামী।

গত ১৫ জানুয়ারী রাতের আঁধারে নিজাম উদ্দিন ও আবদুল করিম গংদের নেতৃত্বে রাতের আধারে চুরি করে আমার স্ত্রীর নামীয় একখন্ড ভূমি থেকে মাটি কাটার এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে শতাধিক ট্রাক মাটি কেটে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মাটি চুরির মামলা করেছি। এর পর থেকে মাটি কাটায় অভিযুক্ত ইউনুস আলী, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল করিম, নূর মিয়া প্রমুখরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। তারা গত ১২ মার্চ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট ফিরিস্তি তৈরি করে তা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্য কেবলই মিথ্যা নয়, তা চরমভাবে অসত্য। তারা আমাকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়, যা চরম অসত্য। মূলতঃ আমি একজন ব্যবসায়ী তবে রাজনৈতিকভাবে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন নগন্য কর্মী হিসেবে এলাকায় সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় রয়েছি। তাছাড়া সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে আমার ছবি এবং নৌকার ছবি সংযুক্ত করে তারা চরম নোংরামির পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি এবং আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চিহ্নিত দুষ্কৃতকারীরা নানা ভাবে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তারা সামাজিক মাধ্যম সমুহে আমি ও আমার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও মানহানি মুলক তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এরা প্রত্যেকেই একাধিক মামলার আসামী। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট এইসব চিহ্নিত অপরাধিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাই। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহালদিক গ্রামের মুরব্বি  মশাহিদ আলী,শফিক মিয়া,নূরুল হক,আবদুল কাদির,আবদুল মজিদ লাল,ময়জুল মিয়া,খুর্শিদ আলম,শামসুল হক প্রমুখ।