
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা জাফলং সীমান্তে চোরাচালানের গডফাদার স্বৈরাচার ছেনু মিয়া বেপরোয়া। তিনি পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের লাখের পার এলাকার বাসিন্দা মনাফ মিয়ার ছেলে।
বিগত আওয়ামী লীগের আমলে ছেনু মিয়া চোরাচালান ও মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
গত ৫ আগস্টের পর তিনি কিছু দিন আত্মগোপনে থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে ফের যুক্ত হন চোরাচালানে। বর্তমানে ছেনু মিয়া বেপরোয়া চাঁদাবাজি-চোরাচালান করে জাফলং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় থানা পুলিশ সাথে হাত মিলিয়ে ভারতীয় চোরাচালানের লাইনম্যান হিসাবে কাজ করছেন। বিগত দিন এই ছেনু মিয়া আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান হোসেন সুমনের সাথে হাত মিলিয়ে মানুষকে ভিবিন্ন ফাঁদে ফেলে হাতিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর সুমন জাফলং ছেড়ে পালিয়ে গেলেও ছেনু মিয়া বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
একাধিক চোরাকারবারির সাথে আলাপ করে জানা গেছে ছেনু মিয়া মাদক ও চোরাচালানের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ভারতীয় চোরাই পণ্য পুলিশ দিয়ে আটকের ভয় দেখিয়ে আদায় করেন বড় অংকের টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চোরাচালানকারী ছেনু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী যেইহোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।