
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রায়নগরে ফায়ার সেফটি না মেনে একতলা বিল্ডিং নির্মানের অনুমোতি নিয়ে কৌশলে অবৈধভাবে ৫তলা ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। সিটি কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী নগরের ভেতরে কোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে সেই ভবনের প্রবেশের সড়ক অন্তত পক্ষে ১৭ ফুট হতে হবে। যে যেকোনো অঘটন ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা যাতে সহজে বাসায় গাড়িসহ ডুকতে পারেন। অথচ সিটি কর্পোরেশন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাঁচ ফুটের প্রবেস রাস্তার ভেতরে ‘আতরাহ ভিলা’ নামক একটি পাঁচতলা ভবন নির্মান করেছেন ওসমানীনগর থানার গোয়ালাবাজার খাদিমপুর গ্রামের স্থায়ী প্রবাসী কামরুজ্জামান।
এনিয়ে মঙ্গলবার সিসিকে একটি অভিযোগ দিয়েছেন প্রতিবেশি ফয়েজ আহমদ। এই ভবন নির্মানের অনুমোতিসহ ফায়ার সেফটি বিষয়টি জানা নেই বলে জনিয়েছে সিসিক কর্তৃপক্ষের! এই বিষয়টি দেখবেন এবং এর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানীনগর থানার গোয়ালাবাজার খাদিমপুর গ্রামের স্থায়ী প্রবাসী কামরুজ্জামান একযুগ পূর্বে অনুমানিক ৯ শতক জমি ক্রয় করে সিটি কর্পোরেশনের আইন না মেনে আতরাহ ভিলা নামে একটি পাঁচ তলা ভবন নির্মান করেছেন। তিনি জমি ক্রয় করে ১২ বছর আগে একতলা এবং গত তিন বছরে কৌশলে বাকি চারতলা বিনা অনুমতিতে নির্মান করেছেন। দীর্ঘদিন থেকে এই ভবনে ৯টি পরিবারের প্রায় ৪০ জন মানুষ ভাড়া দিয়ে বসবাস করছেন। বসবাসকারীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ নারী-পুরুষও আছেন। সিটি কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী শহরের ভেতরে কোনো ভবন নির্মান করতে হলে সেই ভবনের প্রবেশের সড়ক অন্তত পক্ষে ১৭ ফুট হতে হবে। যাতে যেকোনো অঘটন ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা সহজে বাসায় গাড়িসহ ডুকতে পারেন। অথচ কামরুজ্জামান সিটি কর্পোরেশন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৫ ফুটের প্রবেশ রাস্তার ভেতরে ৫তলা ভবন নির্মান করে বাসাভাড়া বাণিজ্যে মেতেছেন। বাসায় বসবাসকারী মানুষের জীবন ঝুঁকিতে রেখে তার এই বানিজ্য এলাকার সচেতন নাগরিকদের আতঙ্কিত করছে।
যদি এ ভবনে আগুন লাগে তবে ভবনে থাকা মানুষকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করা অসম্ভব হবে। এই সড়ক দিয়ে দুটি মোটরসাইকেলও একসাথে যাওয়া আসা করতে পারে না। অনেক কষ্টে একটি রিকশা প্রবেশ করলেও কোনো সিএনজি অটোরিকশা প্রবেশ করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে কামরুজ্জামানের ভবনে থাকা ভাড়াটিয়ারা আগুন লাগলে জীবননাশের শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ওই ভবনে যদি কোনো কারণে অগ্নিকান্ড ঘটে তবে আমার টিনসেডের ঘরসহ আশপাশের বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জীবনঝুঁকিতে রয়েছেন।
এই ভবন নির্মানের অনুমোতিসহ ফায়ার সেফটি বিষয়টি জানা নেই বলে জনিয়েছে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান। তিনি এই বিষয়টি দেখবেন এবং তদন্ত করে এর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।