• ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সিলেট কোম্পানিগঞ্জ সড়কে ভেঙ্গে যাবে তিন চাকার বাহাদুরি, চালু হলো লোকাল বাস

sylhetcrimereport
প্রকাশিত মে ৮, ২০২৫
সিলেট কোম্পানিগঞ্জ সড়কে ভেঙ্গে যাবে তিন চাকার বাহাদুরি, চালু হলো লোকাল বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক:: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবারো চালু হলো সিলেট-ভোলাগঞ্জ-গোয়াইঘাট ও হাদারপার সড়কের বাস চলাচল। সল্প খরছে জনসাধারণের মানসম্মত সেবা আর শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা ও প্রতিবন্ধীদের ফ্রী যাতায়াতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ১০টি লোকাল বাস চালু করলো সালুটিকর কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জ গোয়াইনঘাট হাদারপার বাস মিনিবাস মালিক সমিতি।

বিগত একযোগেরও অধিক সময় থেকে নানান জটিলতায় আঁটকে ছিলো তিন/চার উপজেলার মিতব্যয়ী এই জনপরিবহন। দাপটের সাথে একক আধিপত্যে জনসাধারণের উপর জুলুম চালিয়ে আসছিলো তিন চাকার পরিবহন। রাত বাড়লেই দুই থেকে পাঁচগুণ ভাড়া আদায় ও ছিনতাইয়ে জড়িতসহ অভিযোগের অন্ত নেই তাদের বিরুদ্ধে।

অবশষে বৃহস্পতিবার ৮-মে সকাল সাড়ে দশটায় আম্বরখানা থেকে ভোলাগঞ্জে লোকাল বাস সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দিন দশটি বাস আম্বরখানা ভোলাগঞ্জ সড়কে চালু করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সালুটিকর গোয়াইনঘাট হাদারপার সড়কে চালু করা হবে।

এসময় বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি হুমায়ূন আহমদ মাসুক বলেন, বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন জটিলতার কারণে সাধারণ যাত্রীরা লোকাল বাস মিনি বাস চলাচলের সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। সাধারণ যাত্রী ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবের কথা চিন্তা করে আমরা পুনরায় লোকাল বাস সার্ভিস চালু করেছি।

এ সময় মালিকপক্ষ জানান, সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ ৬০ টাকা, টুকের বাজার ৫০, কোম্পানিগঞ্জ ৪৫, তেলিখাল ৪০, বর্ণী ৩০, সালুটিকর ২০, ধুপাগোলে ১৫ ও বাইপাস ১০ টাকা বাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাস মিনি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, সাধারণ যাত্রীরা নামমাত্র বাড়ায় নিরাপদ যাতায়াতে সত্যিকার সেবা পাবে এবং স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবে।

বাস মিনি বাস সালুটিকর শাখার শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান বলেন, সাধারণ যাত্রীদের কথা চিন্তা করে বাস মালিক সমিতি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যে মহানুবতা দেখিয়েছে তা অনেক বড় প্রাপ্তি। যাত্রীদের সেবায় শ্রমিকরা সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব নিয়ে কাজ করবে।

তারা বলেন আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের আইডি অনুযায়ী একটি কার্ড করে সরকার ঘোষিত বাড়া আদায় করবো এবং প্রতিবন্ধীদের ফ্রী সার্ভিস দেওয়া হবে।

সাধারণ যাত্রীরা দীর্ঘদিন পর লোকাল বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বলেন সন্ধ্যা হলেই সড়ক সিএনজি অটো রিস্কার সংকট দেখা দেয়। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও সময় মত গন্তব্যে পৌঁছা যায় না। বিশেষ করে রাতের বেলায় যাতায়াতে ঝুঁকিতে ও হতাশায় ভুগতে হয়। এখন এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

আনুষ্ঠানিক যাত্রায় আরও বক্তব্য রাখেন, লোকমান হেকিম শিকদার, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শফিকুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজির মিয়া, সংগঠনিক সম্পাদক জমির হোসেন প্রমুখ।