
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের গোয়াইনঘাট, জাফলং ও কোম্পানীগঞ্জ এলাকার অবৈধভাবে পাথর ও চোরাই পণ্য পরিবহন রোধে জেলা প্রশাসনের অভিযানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (২৯ মে) রাত ১০টা থেকে অভিযান শুরু হলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তীতে বিক্ষোভে রূপ নেয়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা একটি খালি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে সড়ক অবরোধ করে দেয়, ফলে তিন দিকেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে ছুটে যান ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের এয়ারপোর্ট থানা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাদ মিয়া। তিনি উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উপস্থিত কিছু লোকের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আজাদ মিয়াকে হেনস্তা করা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সত্ত্বেও তিনি ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেন। এনিয়ে শ্রমিক ও স্থানীয়দের প্রসংশায় পঞ্চমুখ।
আজাদ মিয়া বলেন, “শ্রমিকদের স্বার্থে সবসময় রাজপথে থেকেছি, থাকব। তবে অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দিইনি, ভবিষ্যতেও দেব না। নীতিনৈতিকতার ভিতরে থেকেই শ্রমিকদের পাশে থাকব।”
জানা গেছে, সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অংশ নেন। ঝিনাইদহ ট-১১-১১৮১ নম্বর একটি ১০ চাকা ট্রাকে থাকা অবৈধ পাথর জব্দ করা হয়।
অভিযান সম্পর্কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমান বলেন, “ঈদের আগে যেন কোনো চোরাই পণ্য বা অবৈধভাবে পশু পরিবহন না হয়, সেজন্যই এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।”