• ৩রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সিলেটে জুলাইজুড়ে পণ্য জব্দ হলেও নেই কাউকে আ ট ক করার নজির

sylhetcrimereport
প্রকাশিত আগস্ট ৩, ২০২৫
সিলেটে জুলাইজুড়ে পণ্য জব্দ হলেও নেই কাউকে আ ট ক করার নজির

সংগৃহিত

সিকারি ডেস্ক::  সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তে জুলাই মাসজুড়ে চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এই মাসে কোনো চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি বাহিনীটি। অভিযান টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পণ্য ফেলে পালিয়ে যায় বলে দাবি বিজিবির।

জানা গেছে, মাসজুড়ে পরিচালিত ১০টি পৃথক অভিযানে ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ভারতীয় পণ্য, মাদকদ্রব্য এবং অবৈধভাবে উত্তোলন করা পাথর পরিবহনের নৌযান জব্দ করেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)।

বিজিবি জানায়, এসব অভিযান চালানো হয়েছে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিওপি’র আওতাধীন সংগ্রাম, প্রতাপপুর, বিছনাকান্দি, তামাবিল, সোনারহাট, বাংলাবাজার, সোনালীচেলা, কালাইরাগ, উৎমা, শ্রীপুর, মিনাটিলা, দমদমিয়া ও পান্থুমাই এলাকার সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে।

অভিযানগুলোর মাধ্যমে জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় শাড়ি, সানগ্লাস, স্কিন ব্রাইট ক্রিম, সুপারি, চিনি, বিড়ি, চকলেট, সনপাপড়ি, ফেসওয়াশ, হেয়ার অয়েল, মুভ ক্রিম, ডেরোবিন অয়েন্টমেন্ট, আইবল ক্যান্ডি, অলিভ অয়েল, সাবান, বডি স্প্রে, শ্যাম্পু, টায়ার, গরু ও মহিষসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য এবং প্রসাধনী। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে পাচারের সময় রসুন ও শিং মাছ জব্দ করা হয়।

এ ছাড়া, চোরাই পথে ব্যবহৃত ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও একাধিক বাংলাদেশি বারকী নৌকা জব্দ করা হয়েছে, যেগুলো অবৈধভাবে পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত হতো। বিশেষ কিছু অভিযানে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফতেহপুর, লামাশ্যামপুর ও সারি নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত গোডাউনে বিপুল পরিমাণ ফেয়ারনেস ক্রিম, জিলেট ব্লেড ও চা-পাতা উদ্ধার করা হয়।

এসব অভিযানের মধ্যে সবচেয়ে বড় চালানটি আটক করা হয় গত ১৮ জুলাই। ওইদিন ৬ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করতে সক্ষম হয় সীমান্তের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিজিবি। আর দ্বিতীয় বড় চালানটি ধরা পড়ে ২৪ জুলাই। সেখানে ছিল ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার মালামাল। আনুমানিক ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার পণ্য গত ২৬ জুলাই জব্দ করে বিজিবি।

বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিয়মিত টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।