সিলেটের জাফলংয়ে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেওয়ায় এবং চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ইসমাইল হোসেন নামের ওই বালু-পাথরের ব্যবসায়ী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফেরার পথে জাফলং মামার দোকান এলাকায় তার ওপর হামলা হয়। দেশিয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার পাশাপাশি সাথে থাকা ব্যবসার ৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেটে পাঠান। হাসপাতালের ডাক্তারা জানিয়েছেন আহত ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বহিষ্কৃত সভাপতি আজির উদ্দিন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয় সহ-সভাপতি সুমন শিকদার, সহ-সভাপতি পারভেজ শিকদার ও রুবেল আহমদের নেতৃত্বে জাফলংয়ের প্রতিবাদী যুবক ইসমাইলের উপর হামলা চালানো হয়। এই হামলায় গুরুতর আহত অবস্থা ইসমাইলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা সবাই বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা শাহ আলম স্বপনের দলয়ের লোক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জাফলংয়ে এই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা নিরীহ শ্রমিকদের জিম্মি করে কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন করায়। পরে তাদের সীমিত কিছু টাকা দিয়ে গাড়িতে পাথর বিক্রি করে দেন এই চক্রের সদস্যরা। এতে তারা দৈনিক লাখ লাখ টাকা আদায় করেন।
তাদের চাদাবাজির বিষয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল। পরে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা ক্ষীপ্ত হয়ে তার উপর হামলা চালায়। এর আগে আজিরদের চাঁদাবাজি বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা গুলোতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরে চাঁদাবাজির বিষয়টি দামাচাপা দিতে এক অসাধু সাংবাদিকের সহায়তা নেন এবং সংবাদ সম্মেলনের নাটকীয় আয়োজন করেন। কিন্তু কোন পত্রিকা তাদের সংবাদ প্রকাশ করেনি।
তাতে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং জাফলং কোয়ারি এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকেন। এমনকি নিরীহ শ্রমিকদের উপরও নির্যাতন চালানো হয়। তাদের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপি কিছু অসাধু নেতা। তারা তাদেরকে প্রকাশ্যে মদদ দিয়েছেন। এছাড়া নেপথ্যে জেলা বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরাও তাদের সাথে রয়েছেন। এরা আড়াল থেকে চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে থাকেন।
সিলেট ক্রাইম রিপোর্ট/এস এ