
সিকারি ডেস্ক:: কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটপাটের পর সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার প্রত্যাহার আদেশের পর স্বস্তিতে নেই জেলা প্রশাসকের ঘনিষ্ট বন্ধু হিসেবে আলোচিত কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। পাথরকাণ্ডে তারও একই পরিণতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে লুন্ঠিত পাথর উদ্ধারে হঠাৎ মরিয়া তিনি। যৌথ বাহিনীর সমন্বিত অভিযানের ৬ষ্ট দিনে নিজের বাহিনী নিয়ে অভিযানে নেমেছেন ওসি। প্রথম দিনই বাজিমাত করে উদ্ধার করেছেন লুন্ঠিত ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর।
সোমবার (১৮ আগস্ট) মধ্যরাত ১টার দিকে শ্যামল সিলেটের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তখনও পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযানে আছেন বলে জানিয়েছেন।
ওসি জানান, ‘সোমবার সন্ধা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া-ভাংতি এলাকায় তার নেতৃত্বে পুলিশ অভিযানে নামে। এসময় সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া প্রায় ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। তবে এর সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেন নি বলে জানান ওসি।
ওসি বলেন, খনিজ সম্পদ ব্যুরোর মামলায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সাদাপাথর লুটপাটে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জনশ্রুতি রয়েছে, কোম্পানীগঞ্জের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ- তাঁরা দুজনই ঘনিষ্ট বন্ধু ও একই সাথে লেখাপড়া করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে বন্ধু হিসেবেই সম্বোধন করতেন। অনেকের সামনেই তিনি ফোনে বন্ধুর সাথে কথাও বলতেন।