• ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভ্যাপসা গরমে জনজীবন চরমে

sylhetcrimereport
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫
ভ্যাপসা গরমে জনজীবন চরমে

সংগৃহিত

সিকারি ডেস্ক::  ভ্যাপসা গরম আর প্রচন্ড তাপপ্রবাহে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাকা রাস্তায় পা ফেললে মনে হয় পা যেনো পুড়ে যাচ্ছে। এই হলো বর্তমান সময়ের আবহাওয়ার চিত্র।

আবহাওয়াবিদদের মতে, জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাবে প্রকৃতি তার স্বাভাবিক নিয়মে চলতে পারছে না।   তাছাড়া মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে প্রকৃতি বিরূপ আচরণ করছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে বুধবার বেলা ১টার দিকে সিলেটে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রা ছিল।

ভ্যাপসা গরমে হাসফাঁস করছে জনজীবন। কাঠফাটা রোদে সিলেট নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকতে দেখা যায়। আষাঢ়ের শেষে সিলেটে যেনো গরম অসহনীয় পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না কেউই।  তীব্র গরমে শিশু কেশোর ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বর-সর্দি কাশিতে।

সিলেট নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশী।

বুধবার বেলা ১টার দিকে সিলেটে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে মানুষ অনুভব করেছে প্রায় ৪৫ ডিগ্রির মতো তাপমাত্রা। এর আগে মঙ্গলবার সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে সোমবার দিনটিতেও সিলেটে গরমের দাপট ছিল প্রচন্ড। তবে রাতের বৃষ্টি না হ্ওয়ায় গরমে জনজীবন নাকাল হয়ে পড়ে।

এই গরমে খেটেখাওয়া মানুষদের দুর্ভোগের সীমা নেই। জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন অর্থ ও শ্রম।   তাই প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে এসব দিনমজুর ও শ্রমিকরা কাজ করে চলেছেন। তাদের জীবনটা কঠিন হয়ে উঠেছে। রোদের তেজ দেখে ঘর থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও পরিবারের সদস্যদের দিকে চেয়ে দু’টি পয়সা রোজগারের রাস্তায় বের হতে হয়।

রিকশা চালক মো. আলামিন মিয়া জানান, পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বেরুতে হয়েছে। পরিবার পরিজনের দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে শত ঝড় বৃষ্টি আর খড়তাপ হলেও আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। আামাদের জন্য রোদ আর বৃষ্টি সবই সমান।

শিবগঞ্জ বাজারের তরকারি বিক্রেতা জহুরুল জানান, গরমে পুড়ি শুধু জীবনসংসার চালানোর জন্য। এই রোদে গলা শুকিয়ে আসে বারবার।