
সিকারি ডেস্ক:: ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত নগরবাসী। ২৪ ঘন্টার মাঝে অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না।
প্রায় ১ ঘন্টা পরপর বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবনে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। বিদ্যুতের কারণে ব্যহত হচ্ছে গণমাধ্যমসহ অনেক শিল্প কারখানার কার্যক্রম। ঘনঘন এই লোডশেডিংয়ে দিশেহারা গ্রাহকরা।
কোনো নির্ধারিত সময় নেই, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের যখন মর্জি তখনই লোডশেডিং হয়।
এক গ্রাহকের অভিযোগ করেন মঙ্গলবার বেলা ২টায় বিদ্যুৎ ছিল না শিবগঞ্জে। পরে বিকাল ৪টার দিকে বিদ্যুৎ পূণরায় চলে যায়। আসার আর খবর নেই৷
একদিকে লোডশেডিংয়ের এই দীর্ঘ সময়ে বাসাবাড়িতে অবস্থানরত শিশু ও বৃদ্ধ ও অসুস্থদের অবস্থা নাজেহাল অন্যদিকে দিকে তীব্র তাপদাহের ফলে জনজীবনে চরম অস্থিরতা।
গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না জাতীয় গ্রিড থেকে। যেখানে সিলেট নগরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ৪০ মেগাওয়াটেরও বেশি। সেখামে জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ মিলছে মাত্র ২৫ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট।
আর এই সাড়ে ২৫ মেগাওয়াটের মধ্যে এর আম্বরখানা সাবস্টেশনে দেওয়া হয়েছে ১৩ মেগাওয়াট, শেখঘাটে ৯ মেগাওয়াট এবং লাক্কাতুরায় মাত্র ৩ দশমিক ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
জানা যায়, বেশ কয়েকটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণেসারাদেশে আগামী দুই থেকে তিনদিন লোডশেডিং হতে পারে।
মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে নগরীর অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
পিডিবির সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট নগরের বিদ্যুতের চাহিদা ৪০ মেগাওয়াটেরও বেশি। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ মিলছে মাত্র ২৫ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে আম্বরখানা সাবস্টেশনে দেওয়া হয়েছে ১৩ মেগাওয়াট, শেখঘাটে ৯ মেগাওয়াট এবং লাক্কাতুরায় মাত্র ৩ দশমিক ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, “জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কম থাকায় নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এটি কতদিন থাকবে তা নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে জাতীয় গ্রিডে পর্যাপ্ত সরবরাহ পাওয়া গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”