
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মুঠোফোন চার্জ দেওয়া নিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টা থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে দুই পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এক সালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক একাধিক বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুল হাকিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সালিসি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জয়নাল আবেদীন, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাব উদ্দিন, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এডভোকেট কামাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক আলী আকবর,
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সওকত আলী বাবুল,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সভাপতি ফয়জুর রহমান,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল মোত্তাকিন বাদশাহ,
তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যানবৃন্দ,ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। উল্লেখ্য, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মুঠোফোন চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার বর্ণির এক বাসিন্দা কোম্পানীগঞ্জ থানার বাজারের এক দোকানে মুঠোফোন চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কাঁঠালবাড়ি গ্রাম ও বর্ণি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে শনিবার রাতে একাধিকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে প্রথমে রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে রোববার সকালে দুই গ্রামেই মাইকিং করে লোকজন জড়ো করতে থাকেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন কোম্পানীগঞ্জ থানার বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে আবার দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কের থানার বাজার এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেন। পরে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুল হাকিম চৌধুরী ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রটারী জয়নাল আবেদীনের হস্তক্ষেপে এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় উভয় পক্ষের মধ্যে বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।