
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গড়ে উঠেছে ভারতীয় চোরাচালানকারীদের স্বর্গরাজ্য। এই রাজ্যের রাজা হিসাবে সর্বমহলে পরিচিত রাধানগরের বাসিন্দা স্বৈরাচারের দোসর আব্দুল্লাহ। তিনি রাধানগর-গোয়াইনঘাট রোডে একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট গড়ে তোলেছেন। তার নেতৃত্বে এই সিন্ডিকেট পরিচালনা হয়। পুলিশ, বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসনের সর্ব মহলেই রয়েছ তার অবাধ বিচরণ।
সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হলেন যুবদল নামধারী চাঁদাবাজ জসিম উদ্দিন, কামরুল, খায়রুল ও কামাল।
সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন রাতে রাধানগর-গোয়াইনঘাট রোডে শত শত গাড়ী ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচার করা হয়। বিনিময়ে তারা পুলিশের নামে প্রতি গাড়ী থেকে ৬ হাজার টাকা করে আদায় করেন। ফলে পুলিশের চোখের সামন দিয়ে এসকল চোরাই গেলেও পুলিশ শুধু তাকিয়ে থাকে। এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে ২০১৭ সালে গোয়াইনঘাট থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনের সময় আব্দুল্লাহ বেশ আলোচিত ছিলেন। তখন তিনি ক্ষমতাবান ওসি দেলোয়ার হোসেনের বড় পূত্র হিসাবে উপজেলাবাসী তাকে চিনতেন। সেই সময় থেকে শুরু হয় আব্দুল্লাহ এর লুটপাট। এই লুটপাট চলমান থাকে ২০২০ সাল পর্যন্ত। এরপর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন ফের আব্দুল্লাহকে চাঁদাবাজির লাইন করে দেন। এরপর কিছুদিন আব্দুল্লাহ লাইনে বহাল থাকলেও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুজিব ও তার সহযোগীরা তাকে লাইন আউট করেন। পরে আব্দুল্লাহ আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে প্রসস্থ করেন চাঁদাবাজির ডানা। সরকার পতনের পর কিছুদিন আব্দুল্লাহ নিরব থাকলেও ফের শুরু করেছেন চাঁদাবাজি।
যুবদল নামধারী চাঁদাবাজ জসিম উদ্দিনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি লাইন কি বুঝিনা এগুলো আব্দুল্লাহ ভাই দেখেন।
লাইনম্যান নামক চাঁদাবাজ স্বৈরাচারের দোসর আব্দুল্লাহ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন আর নেই। মাঠের কাজে ব্যস্ত, লাইন চালায় যুবদলের জসিম উদ্দিন, কামরুল, খায়রুল ও কামাল। আপনি তাদের বক্তব্য নেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এড. শাহজাহান সিদ্দীকি বলেন, যুবদলে কোন চাঁদাবাজের স্থান নেই। যুবদলের নাম নিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ।