
সিকারি ডেস্ক:: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শহীদ স্মৃতি টুকেরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ কমিটি আহুত সভায় হট্টগোল ও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টুকেরবাজার সিএনজি স্ট্যাণ্ড ও স্কুল মাঠে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে টুকেরবাজারের মেজবান রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার, ডাক্তার নুরুল আমিন কমপ্লেক্সের কয়েকটি দোকান, একটি মোটরসাইকেল এবং একটি পিকআপ গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
সংঘর্ষে আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত দুইজনকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন– ইসলামপুর গ্রামের শাকিল ইসলাম, ফারুক আহমদ, সজিব ইসলাম, শহিদুল ইসলাম শাহজাহান, আতিকুল ইসলাম মিঠু, রিপন আহমেদ, জনি ইসলাম, নাইম আহমদ, হাবিবুর রহমান, কবির আহমদ, শিলেরভাঙ্গা গ্রামের কাউছার আহমদ ও টুকেরগাঁওয়ের হানিফ আলী। এরমধ্যে গুরুতর আহত শাকিল ইসলাম ও ফারুক আহমদকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, টুকেরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাধারণ সভা কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে চলছিল। এসময় কলেজের বারান্দায় বদরুল এবং নাঈম নামে দুই যুবকের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়। ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে সভা পণ্ড হয়ে যায়। উপস্থিত মুরুব্বিগণ পরিস্থিতি শান্ত করে পুনরায় সভায় বসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
দুই যুবকের মধ্যে হওয়া ঘটনাটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায় দুই গোষ্ঠির মধ্যে। এরমধ্যে একপক্ষে আছেন টুকেরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এডভোকেট কামাল হোসেন। অপরপক্ষের নেতা কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী (বর্তমানে জেলহাজতে আছেন)। উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে অন্তত ১২ জন আহত হন। এর মধ্যে দুইজনকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. উজায়ের আল মাহমুদ আদনান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কলেজ কমিটির বর্তমান ও সাবেক দুই সভাপতির লোকজনের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থেকে এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।