
সিকারি ডেস্ক:: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল কাস্টমসের মালামাল নিলামে নিতে জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে, বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তামাবিল শুল্ক স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এতে তামাবিল স্থলবন্ধরে শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের (রেজি নং- চট্ট-২২১৪) সভাপতি মনির হোসেনসহ অনেকে আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তামাবিল শুল্ক স্টেশনে জব্দকৃত ভারতীয় মোটরসাইকেলসহ মালামাল নিলাম কার্যক্রম ছিল। সে সময় পাশ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক বদরুল আলম শাওন, সদস্য সচিব এম শাহীন আলম, যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুলাহ ইলিয়াস উপস্থিত হয়ে নিলামের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ব্যবসায়ী-জনতা তাদের আটক করে রাখে।
তাদের ফোন পেয়ে দেশিয় অস্ত্র সহকারে সুলেমান আহমদের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেন উপজেলা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী। উপজেলা ছাত্রদলের জামিল আহমদ (৩১), শাহিন আলম, ফারুক আহমদ মাহফুজ আহমদ, শাহাজাহান অজ্ঞাত আরো অনেকে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, ঘটনার সময় আমি সিলেট শহরে কনফারেন্সে ছিলাম। বিকেলে এসে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। নিলামে ফরিদপুরের দুটি গ্রুপ ছিল। এর একটি গ্রুপের পক্ষে নিলাম পাইয়ে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদল এবং অন্যগ্রুপে ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের নেতা। ছাত্রদল কর্তৃক নিলাম নিয়ন্ত্রণের কথা জানেন না। তবে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি একটি গ্রুপের পক্ষে ছিলেন। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয় এবং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিসহ আরো অনেকে আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় তামাবিল স্থলবন্ধন শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের (রেজি নং- চট্ট-২২১৪) সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ ৮ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তামাবিল স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী নূর উদ্দিনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের বদরুল আলম শাওন শ্যামল সিলেটকে বলেন, ৫ আগস্টের পরও তামাবিল স্থল বন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে আওয়ামী লীগের দোসররা। নূর উদ্দীন ও জালাল উদ্দীনরা মিলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ওই নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি নাড়েন।
শাওন বলেন, আমরা নিলামে অংশ নিতে যাই, নূর উদ্দীনরা আমাদের বাঁধা দেয়। বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন তারা। পরে আপোসমিমাংসায় বসা হলে শ্রমিক নেতা মনির উদ্দীন টেবিলে থাপ্পড় দিয়ে কীসের আপোস বলে উসকে দেন।
ছাত্রদলের এই নেতার অভিযোগ নূর উদ্দীন, জালাল উদ্দীন ও মনির উদ্দীনদের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।