
সিকারি ডেস্ক:: হবিগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে হত্যা মামলার এক আসামিকে মারধর এবং পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। পরে পুলিশ ও আইনজীবীরা আসামিকে রক্ষা করেন। বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক শেখ নাজমুল হক বলেন, দুপুরে স্কুলছাত্র জনি দাশ (১৭) হত্যা মামলার আসামি সাজু মিয়াকে (২২) আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় কিছু ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী আসামি সাজুকে আদালত প্রাঙ্গণে মারধরের চেষ্টা করে। তবে পুলিশ সতর্ক থাকায় তাদের চেষ্টা সফল হয়নি। আসামিকে আদালত তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে ঘরের পাশে শব্দ শুনে জনি দাশ ঘর থেকে বের হয়। এ সময় অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সে। একপর্যায়ে ওই অপরিচিত ব্যক্তি জনি দাশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় জনি দাশকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জনি দাশ হবিগঞ্জ শহরের ডকঘর এলাকার নর্ধন দাশের ছেলে। সে হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত কিশোরের বাবা বাদী হয়ে গশনিবার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার পুলিশ সাজু মিয়া নামের এক তরুণকে গ্রেফতার করে। তাঁর বাড়ি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাক গ্রামে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে সাজু দায় স্বীকার করেছেন।
বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর থানা–পুলিশ সাজু মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করে। এ সময় একদল শিক্ষার্থী সাজুর ওপর হামলা ও তাঁকে মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ হামলাকারীদের লাঠিচার্জ শুরু করে। পাশাপাশি একদল আইনজীবী ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দীন শাহীন বলেন, জনি দাশের কিছু সহপাঠী দল বেঁধে আসামির ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রদক্ষেপ গ্রহণ করায় হামলাকারীরা সফল হতে পারেনি। আদালত ওই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।