চট্টগ্রামে জেএম সেন হল পূজামণ্ডপে ইসলামী গান পরিবেশনকে কেন্দ্র করে গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- তানজিমুল উম্মাহ মাদ্রাসার শিক্ষক শহীদুল করিম ও দারুল ইরফান একাডেমির শিক্ষক নুরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের পৃথক স্থান থেকে এই দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘পূজা আয়োজন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্ত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির একদল শিল্পীকে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ করেন।’
তিনি বলেন, ‘তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিল্পী গোষ্ঠীর ছয় সদস্য শহীদুল করিম (৪২), নুরুল ইসলাম (৩৪), আব্দুল্লাহ ইকবাল (৩০), রনি (২৮), গোলাম মোস্তফা (৩৬) ও মো. মামুন (২৭) পূজার অনুষ্ঠানে একটি ইসলামি গজল ও একটি বাউল গান পরিবেশ করেন।’
‘এর মধ্যে একটি গানের ভাষায় শব্দ চয়ন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বলে প্রতীয়মান হয়। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা গান দুটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।’
রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আটককৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও অপতৎপরতার কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা তা খুঁজে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেএম সেন হল পূজামণ্ডপে কালচারাল প্রোগ্রাম ছিল। পূজা উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য সজল দত্তের আহ্বানে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ৬ সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠে। সংগঠনটি শাহ্ আবদুল করিমের লেখা বিখ্যাত গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং চৌধুরী আবদুল হালিমের লেখা ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’-শীর্ষক গান দুটি পরিবেশন করে। এর মধ্যে শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান-গানটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
সিলেট ক্রাইম রিপোর্ট/সানজিদা