
সিকারি ডেস্ক:: প্রায় মেহেরপুর জেলার সমান গোয়াইনঘাট উপজেলায় গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) পদটি শূন্য পড়ে রয়েছে। এতে নামজারি ও জমাখারিজসহ ভূমিসংক্রান্ত নানা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চরম ভোগান্তি হচ্ছে সেবাপ্রত্যাশী মানুষের। জানাযায়, উপজেলায় ৪৮২ দশমিক ৭১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের তেরোটি ইউনিয়নে ছোট বড় মৌজা রয়েছে ২৬২টি। উপজেলায় প্রায় চার লক্ষ লোকের বসবাস। মোট জমির পরিমাণ ৪৮ হাজার ২৭৩ হেক্টর। এর মধ্যে আাবাদ যোগ্য জমি- ২৮৫৫৩ হেক্টর চাষ যোগ্য পতিত জমি- ৬৫৪২ হেক্টর।ছোট বড় হাওরের সংখ্যা ৬০টি। নদী-নালা, খাল-বিল, ছোট ছোট জলাশয়, গোচারণ ভূমি ও খেলার মাঠসহ আরও প্রায় দশ হাজার হেক্টরেরও বেশি ভূমি রয়েছে। ভূমি অফিস সূত্রে জানাযায়, বিগত সময়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলাম ২০২৫ সালের ৬ মে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তাঁর দাপ্তরিক কাজের ব্যস্ততার কারণে ভূমি সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এনিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের মাঝে ক্ষোভ আছে। জানাযায়, নিজ দপ্তরের কাজ চলমান রেখে ভূমি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও তা জনগণের কষ্ট লাঘবে যথেষ্ট নয়। এছাড়াও সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় উপজেলার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, খাসভূমি উদ্ধার, সরকারি জায়গায় থেকে পাথর বালুলোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ভূমি সংক্রান্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার হাজারো মানুষ। ভূমি অফিসে প্রতিদিন নামজারি ও অন্যান্য সেবার জন্য ভিড় করছেন ভুক্তভোগীরা। অসংখ্য ভুক্তভোগী জানান, প্রয়োজনে জমি কেনাবেচা করতে হয়। নামজারির জন্য একাধিক বার এসেও কাজ হচ্ছে না। কাজ কখন হবে কেউ বলতে পারেনা। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় এসিল্যান্ড নাই। কখন এসিল্যান্ড আসবেন তাও তারা জানেন না। নামজারির জন্য আবেদন করে প্রতি সপ্তাহে খোঁজ-খবর নিয়েও সুরাহা পাচ্ছেন না সেবা প্রত্যাশীরা। জরুরি ভিত্তিতে এই উপজেলায় একজন এসিল্যান্ড দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় সেবা প্রাপ্তিতে ভোগান্তি হচ্ছে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার স্যাকে অবগত করেছি।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রশাসকের চার্জে থাকা (রুটিন দায়িত্বে) স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার জানান, অনেক উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি), বিভাগীয় কমিশনার অফিস থেকে পোস্টিং দেওয়া হয়। বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে আমরা অবগত করেছি, গোয়াইনঘাট অত্যন্ত বড় উপজেলা এখানে সহকারী কমিশনার না থাকায় অসুবিধায় আছে এখানকার জনসাধারণ। তিনি জানিয়েছেন নতুন করে যাদের ট্রেনিং হচ্ছে, ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গোইয়ানঘাট উপজেলায় সহকারী কমিশনারের শূন্য পদে একজন সহকারী কমিশনার পদায়ন করা হবে।