• ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দুই মাসেও জট খোলেনি বড়লেখার সালাউদ্দিন হত্যা মামলা, উত্তাল জনতার মানববন্ধন

sylhetcrimereport
প্রকাশিত জুন ২২, ২০২৫
দুই মাসেও জট খোলেনি বড়লেখার সালাউদ্দিন হত্যা মামলা, উত্তাল জনতার মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দিনমজুর সালাউদ্দিন (৩৫) হত্যা মামলার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। গ্রেপ্তার হয়নি ঘটনায় জড়িত প্রকৃত কোনো আসামি। সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে রোববার (২২ জুন) দুপুরে বড়লেখা পৌর শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে তারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

১৮ এপ্রিল রাতে নির্মমভাবে খুন করে সালাউদ্দিনের মরদেহ বর্ণী ইউনিয়নের রাতখাল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন বিকেলে স্থানীয়রা নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেন। এরপর নিহতের ভাই আমির উদ্দিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউফ চারজনকে আটক করেন। এর মধ্যে আফজাল হোসেনকে ২৪ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি সে “কুড়িয়ে পেয়েছে” দাবি করলেও স্বজনরা এটিকে রহস্যজনক মনে করছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন—প্রতিদিন যে সিএনজি চালক মামুন হোসেন সালাউদ্দিনকে গ্যাস আনতে বিয়ানীবাজারে নিয়ে যেতেন, সেদিন তিনি কেন নেননি? যেই বাড়িতে সেদিন রাতে সালাউদ্দিন ভাত খেয়েছিলেন, সেই বাড়ির কাউকেও তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি কেন?

মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য দেন নিহতের বাবা কমর উদ্দিন, চাচা পারভেজ আসুক, ছোটভাই আমির উদ্দিন, ভগ্নিপতি হাফিজ বেলাল আহমদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলী, আব্দুল হালিম, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক আব্দুল কাদির পলাশ, ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি মুজিবুর রহমান, পৌর জামায়াত সেক্রেটারি আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নিহতের ভাগ্নে ইকবাল জাফর।

এ সময় বক্তারা বলেন, “সালাউদ্দিন হত্যার পর দু’মাস কেটে গেলেও প্রকৃত আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ কিছু নাম দেখিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। অথচ যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন ছিল, তারা এখনো তদন্তের বাইরেই রয়ে গেছে।”

এ বিষয়ে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, “নিহতের স্বজনরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। তদন্তে গতি আনতে প্রয়োজনে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হবে। দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”